বাংলাদেশকে ফলোঅন করাবে নিউজিল্যান্ড?
৪১.২ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে শরিফুল ইসলাম বোল্ড হয়ে যাওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কিউইদের চেয়ে এখনও পিছিয়ে রয়েছে ৩৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে পারবে স্বাগতিকরা। অন্তত ২০০ রানের ব্যবধান হলে চাইলেই প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করানো সম্ভব। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর নিউজিল্যান্ড চরম প্রতিশোধ নিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যদি ইনিংস ব্যবধানে হারাতে পারে, তাহলে এর চেয়ে দারুন আর কিছু হতে পারে না তাদের জন্য। তো সে সুযোগ কী নেবেন টম ল্যাথাম?
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। তৃতীয় দিন সকালেই হয়তো সিদ্ধান্তটা জানানো হবে। তবে, কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসার পর তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা বাংলাদেশকে অলো অন করানোর চিন্তা করছে কি না?
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দেয়া ট্রেন্ট বোল্ট স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। হয়তো, সিদ্ধান্তটা অধিনায়ক দেবেন, তাই নিজে থেকে তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে, আকারে-ইঙ্গিতে যা বুঝিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে ফলো অন করাবেন তারা।
এ নিয়ে ট্রেন্ট বোল্ট বলেন, ‘উইকেট দেখে তো মনে হচ্ছে, কিছুটা কুঁচকানো তথা ভাঙতে শুরু করেছে। এমন উইকেটে সকালবেলা সম্ভবত নতুন বলই পাবো এবং এই উইকেটে নতুন বলে বোলিং করা দুর্দান্ত বিষয়। আমি নিশ্চিত তারা (বাংলাদেশ দল) এ বিষয়টা নিয়েই ঘুমাতে যাবে এবং সকালে উঠে এর মোকাবেলা করবে।’
অর্থ্যাৎ, ট্রেন্ট বোল্ট আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়েই দিলেন, আগামীকাল সকালে নতুন বলে তাকে মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তার মানে, ফলো অনই করানো হবে টাইগারদের।
তবে, এমন সম্ভাবনাও আছে যে ফলোঅন করাবে না। কারণ, এই টেস্ট ম্যাচটি যেহেতু রস টেলরের শেষ ম্যাচ। টেস্টেরও তিনদিন বাকি পড়ে আছে। টেলরকে শেষে এসে আরও একবার ব্যাট করার সুযোগ করে দিতে হয়তো ফলো অনে বাংলাদেশকে না ফেলে নিজেরাই ব্যাট হাতে নেমে পড়লো মাঠে!