• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রতিশোধের ম্যাচে ক্যারিবীয়দের লজ্জায় ডোবালো ইংল্যান্ড

প্রকাশ:  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন আদিল রশিদ, মইন আলি, টাইমাল মিলসরা। ইংলিশদের বোলিং তোপে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম একশ রানের নিচে অলআউট হলো দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ছিলো ২০০৯ সালের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০১ রানে অলআউট হওয়া।

আর সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৯ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার সেটি টপকে গেলেও বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রান টপকাতে পারেনি কাইরন পোলার্ডের দল।

এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবমিলিয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এটি। এ তালিকায় প্রথম দুইটি নামই নেদারল্যান্ডসের। তারা ২০১৪ সালে অলআউট হয় ৩৯ রানে আর এবারের আসরে থেমেছে ৪৪ রানে। এরপরই বসলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ৫৫ রান।

অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মইন আলির করা প্রথম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইস। পরের ওভারে ক্রিস ওকসের বলেও একই লক্ষ্যে ব্যাট চালান তিনি। কিন্তু আকাশে উঠে যাওয়া সেই শটে ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি আগের ওভার ছক্কা হজম করা মইন।

ছক্কা দিয়ে শুরু লুইসের ব্যাট থেকে আসে এই ছয় রানই। তিন নম্বরে নামেন গেইল। প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি তিনি। মুখোমুখি তৃতীয় ও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিও বার্তা দেন ভালো কিছুর। কিন্তু সেই দুই বাউন্ডারির পর যেনো খোলসবন্দী হয়ে পড়েন ইউনিভার্স বস।

টুকটুক করতে থাকা গেইলকে অন্যপ্রান্তে রেখেই সাজঘরের পথ ধরেন লেন্ডল সিমনস (৭ বলে ৩) ও শিমরন হেটমায়ার (৯ বলে ৯)। গেইলের মতো হেটমায়ারও রানের খাতা খোলেন পরপর দুই বলে দুইটি চার মেরে। কিন্তু এরপর আর বেশিদূর যাওয়া হয়নি তার।

গেইল সাজঘরে ফেরেন পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের শেষ বলে। টাইমাল মিলসের করা সেই ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর শেষ বলেও বড় শট খেলেন গেইল। কিন্তু হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বল মিডউইকেট অঞ্চল থেকে খানিক দৌড়ে পেছনে গিয়ে তালুবন্দী করে ফেলেন ডেভিড মালান।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে চার উইকেট হারানো ক্যারিবীয়রা পরের তিন ওভারে হারায় আরও দুই উইকেট। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্রাভো আউট হন ৫ রান করে। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে নিকোলাস পুরান করেন ৯ বলে ১ রান।

রানের খাতাই খুলতে পারেননি মারকুটে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। আদিল রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে হাস্যকরভাবে বোল্ড হন তিনি। একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলছিলেন অধিনায়ক পোলার্ড। তাকে লংঅনে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ বানান আদিল রশিদ।

প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে পোলার্ড করেন ৬ রান। তার আউট হওয়ার পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান ওবেদ ম্যাকয়। শেষ উইকেটে ছয় রান যোগ করে দলীয় সংগ্রহটা পঞ্চাশ রান পার করান রবি রামপল (৩) ও আকিল হোসেন (৬)।

ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল লেগস্পিনার আদিল রশিদই। তিনি ২.২ ওভারে মাত্র ২ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এছাড়া মইন আলি ও টাইমাল মিলস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

সর্বাধিক পঠিত