প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্যরকম ‘সেঞ্চুরি’র সামনে মাহমুদউল্লাহ
খালি চোখে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলায় চলতি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি টাইগারদের সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচ। এরই মধ্যে ২-০’তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। পরশু জিতলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হবে টাইগারদের।
সেই ম্যাচে সাফল্যের এক নতুন মাইলফলক স্পর্শের সামনে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার হাতছানি রিয়াদের সামনে। রোববার রিয়াদ হবেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শততম ম্যাচ খেলা বিশ্বের অষ্টম ক্রিকেটার ।
প্রায় ১৪ বছর আগে এই সেপ্টেম্বরেই (১ সেপ্টেম্বর ২০০৭) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক রিয়াদের। প্রথম ২০ ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাননি। প্রায় ৫ বছর পর ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার শেরে বাংলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিতে করেন ৪৮ বলে ৬৪ রান।
তারপর থেকে ধীরে ধীরে রান খরা কেটে যায়। এখন সবমিলিয়ে ৯৯ টি-টোয়েন্টিতে ৯১ বার ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৭০২ রান, সর্বোচ্চ ৬৪, গড় ২৩.৯৭ ও স্ট্রাইকরেট ১২০.১৯, ফিফটি ৫টি। বোলিংটাও মন্দ না। উইকেট ৩২টি, সেরা বোলিং ৩/১৮, ওভার পিছু রান ৭.২৫।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে ১৪০ এর ঘরে পৌঁছে দিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং এই ইনিংসটি তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
ঠিক এভাবেই নীরবে নিভৃতে দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি দলকে সামনে থেকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যার প্রমাণ মিলবে একটি ছোট্ট পরিসংখ্যানে। সাকিবের পর টিম বাংলাদেশের পারফরমারদের মধ্যে রিয়াদই দ্বিতীয় সর্বাধিক পাঁচবার ম্যাচ সেরার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পঞ্চম ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতে। এখন তিনি শততম ম্যাচে কী করেন সেটিই দেখার।
শুক্রবারের ম্যাচ শেষে ব্যক্তিগত মাইলফলকের ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহর নির্লিপ্ত অভিব্যক্তি, ‘আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। সবসময় যেটা করার চেষ্টা করি, দলের জন্য খেলা, দলের জন্য ভালো খেলা, নিজের ১০০তম ম্যাচেও সেটাই করার চেষ্টা করবো।’