• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বিশ্বকাপ ফাইনালিস্টদের হারিয়ে শুভ সূচনা ইংল্যান্ডের

প্রকাশ:  ১৪ জুন ২০২১, ১২:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার ইউরোর গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে এলো লন্ডনে। কিন্তু ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ক্রোয়েশিয়ার সেই আত্মবিশ্বাস আর থাকলো না। উল্টো হারতে হলো। গ্রুপ ‘ডি’র প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ানদের ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের ইউরো কাপে শুভ সূচনা করলো ইংল্যান্ড।

প্রথমার্ধ খেলা গোলশূন্যভাবে অমিমাংসিত থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই গোল আদায় করে ইংলিশরা। ৫৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করলেন রাহিম স্টার্লিং। ইংল্যান্ডের জার্সি পরে কোনো বড় টুর্নামেন্টে এটাই তার প্রথম গোল।

বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্ট এর আগে দু’বার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ক্রোয়েশিয়া। ২০০৪ ইউরো কাপে প্রথমবারের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। ১৪ বছর পর দ্বিতীয় ও শেষ সাক্ষাতে ২০১৮ বিশ্বকাপের ক্রোয়েশিয়া ২-১ গোলে হারিয়েছেল ইংল্যান্ডকে। এবার ইউরোয় তৃতীয়বারের সাক্ষাতে ইংল্যান্ড ১-০ গোলে পরাজিত করলো ক্রোয়েশিয়াকে।

মজার বিষয় হলো, এই প্রথমবার ইউরোর কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিতে সক্ষম হলো ইংল্যান্ড। ঠিক অন্য ছবি দেখা গেল ক্রোয়েশিয়া শিবিরে। তারা এই প্রথমবার ইউরোয় নিজেদের প্রথম গ্রুপ ম্যাচে হার মানল।

যদিও আজ লন্ডনে সে সব স্মৃতির কিছুই আর সামনে নেই। নতুন ম্যাচ, নতুন লড়াই। জয় তুলে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য দুই দলেরই। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমার্ধের খেলা শেষে কোনো দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি।

৬ মিনিটেই মাথায় ফোডেনের শট পোস্টে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। অল্পের জন্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় ইংল্যান্ডের। রক্ষা পায় ক্রোয়েশিয়া। ৯ মিনিটের মাথায় ফিলিপসের শট প্রতিহত করেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। ১৬ মিনিটের মাথায় ফিলিপসকে ফাউল করেন কোভাচিচ। ফ্রি-কিক নেন ট্রিপিয়ার। হ্যারি কেন অফসাইড করে বসেন।

ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে একতরফা দাপট ইংল্যান্ডের। ক্রোয়েশিয়া সে অর্থে আক্রমণই শানাতে পারেনি ইংল্যান্ডের বক্সে। ২৬ মিনিটের মাথায় স্টার্লিংয়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৭ মিনিটে প্রথমবার ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে যথাযথ আক্রমণ শানায় ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচের ডান পায়ের শট যদিও ইংল্যান্ড গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।

৩৯ মিনিটে অফসাইডের আওতায় পড়েন ফডেন। ঠিক পরক্ষণেই রেবিচও অফসাইডে ধরা পড়েন। ৪২ মিনিটে হ্যান্ড বল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন ক্রোয়েশিয়ার দুজে। এরপর গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় দুই দলের খেলোয়াড়রা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পর দুই দলই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। ৪৮ মিনিটে মাউন্টকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন কোভাচিচ। ৫৫ মিনিটে মদ্রিচের শট বাঁচিয়ে দেন পিকফোর্ড। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন স্টার্লিং। ইংল্যান্ড ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। স্টার্লিংকে গোলের পাস বাড়িয়ে দেন ফিলিপস।

৬০ মিনিটে ব্রোজেভিচ ফাইল করেন হ্যারি কেনকে। কেন নিজে ফ্রি-কিক শট নেন। যদিও শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৪ মিনিটে ভারদিয়লকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন ফডেন। ৬৫ মিনিটে রেবিচের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৬ মিনিটে মাউন্টকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রোজেভিচ।

৬৭ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ওয়াকারের ভাসানো বল ক্রোয়েশিয়ার জালে রাখতে ব্যর্থ হন মাউন্ট। ৭৪ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন স্টার্লিং। ক্রোয়েশিয়ার বক্সে অরক্ষিত স্টার্লিং বল পেয়ে যান। বিনা বাধায় শট নেওয়ার সুযোগ পেলেও তিনি ক্রসবারের উপর দিয়ে বল বাইরে মেরে বসেন।

শেষের দিকে ক্রোয়েশিয়া আক্রমণ শানিয়ে গোল আদায় করার চেষ্টা করেও ইংলিশ ডিফেন্সের সতর্কতার কারণে পারেনি।

সর্বাধিক পঠিত