• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মনে হচ্ছিল জেলখানায় আছি : মিরাজ

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০২১, ১০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে গত বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোরে নিউজিল্যান্ড গিয়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। করোনা পরিস্থিতির মাঝে মুক্তভাবে বের হতে দেয়ার আগে ক্রাইস্টচার্চের শ্যাডো বাই পার্ক হোটেলে রাখা হয়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের।

প্রথম দুইদিন পুরোপুরি ঘরে বন্দি ছিলেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজরা। শুক্রবার প্রথমবারের মতো ত্রিশ মিনিট হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন সবাই। তবে মেহেদি মিরাজ সেদিন বের হননি। তিনদিন নিজের রুমে থেকে প্রথমবার বের হয়েছেন শনিবার। রুমে বন্দি থাকার সময়টা তার কাছে জেলখানায় থাকার মতো মনে হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় মিরাজ জানিয়েছেন ঘরবন্দি থাকা সময়ের অভিজ্ঞতা। তিনদিন ঘরে থাকার পর প্রথম যখন বের হন, তখন মাথা ঘোরাচ্ছিল তার। তবে বাইরে হাঁটা চলা করে ঘরে ফেরার পর আবার সতেজ হয়ে যান এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।

মিরাজ বলেছেন, ‘প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধা ঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। আমি যখন প্রথম যেদিন বেরিয়েছিলাম (শনিবার), শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গেছে। তিনদিন ঘরের ভেতর যে বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে, জেলখানায় আছি বা হতাশা আছে।’

তবে বাইরে বের হওয়ার পর সতেজতা কাজ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন বাইরে বের হলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলাম, তখন ভালো লেগেছে। পরে যখন রুমে ফিরে গেছি, তখন নিজেকে একটু ফ্রেশ মনে হয়েছে। সারাদিন রুমে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। তিন-চারদিন রুমে কাটানো, একইভাবে... এটা আসলে একটু আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। এই যে ত্রিশ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে(ফিরে) যাই।’

ঘরবন্দি সময়টা কাটাতে ফোনে কথা বলার পথটাই বেছে নিয়েছিলেন মিরাজ, ‘এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি) রুম টু রুম। প্রথমদিকে বোরিং লাগছিল, সময় কাটছিল না। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’

নিউজিল্যান্ড পৌঁছার পর প্রথমদিনই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে থাকা সবার। পরে তৃতীয় দিন করা হয়েছে দ্বিতীয় পরীক্ষা। আর মঙ্গলবার করানো হবে তৃতীয় করোনা পরীক্ষা। এরপর জিম ব্যবহার করতে পারবেন ক্রিকেটাররা, মিলবে গুচ্ছ অনুশীলনের সুযোগ। এর আগে আজ থেকে লন্ড্রি সুবিধাও পাচ্ছেন তারা।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায়ই দিন গুনছেন মিরাজ, ‘ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে। এখন হয়তো সময়টা কাটছে না। জিমের ফ্যাসিলিটিজ বা আমরা যদি কিছু ওয়ার্ক করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু সুযোগটা নেই, দুই-তিনদিন পর স্টার্ট হবে... আশা করি তখন ইনশাআল্লাহ্‌ ভালো হবে।’

সর্বাধিক পঠিত