নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সতর্ক সাকিবরা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মনে বহুমাত্রিক চিন্তা কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ দেশের মাটিতে শেষ দুটি সিরিজ এই দলটাকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে। আবার তাদের দেশে গিয়ে বাংলাদেশ শেষ দুটি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। আবার এই দলটিকে হারিয়েই বাংলাদেশ ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল!
এসব স্মৃতি থেকে কোনটা বাংলাদেশ গ্রহণ করবে, বলা কঠিন। তবে একটা টাটকা স্মৃতি অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গী হবে— দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেওয়া। হ্যাঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সময় বিকাল সাড়ে ৬টা থেকে লন্ডনের ওভালে শুরু হবে এই ম্যাচ।
ম্যাচটার আগে বাংলাদেশ দল খুবই আত্মবিশ্বাসী, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এই ম্যাচকে সামনে রেখে গত ম্যাচের পরই সাকিব আল হাসান বলে দিয়েছেন, আত্মবিশ্বাসের সাথে সতর্কও থাকতে হবে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, নিউজিল্যান্ড এই কন্ডিশনে অনেক বড় দল। তারা ফেবারিট। ফলে আমাদের পা মাটিতেই রাখতে হবে।’নিউজিল্যান্ডও ফুরফুরে মেজাজে এই ম্যাচ খেলতে নামবে। কারণ, টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।
বাংলাদেশ সম্ভবত অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে। তবে একাদশ যেমনই হোক, সাকিব বলেছেন, এই টুর্নামেন্টে অনেক কঠিন পরিস্থিতি আসবে বাংলাদেশের সামনে, ‘কেবল শুরু হলো। আরো আটটি ম্যাচ আছে। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। কারণ এই ম্যাচের পর সব দলই আরো সতর্ক হয়ে আমাদের সঙ্গে ভালো খেলতে চাইবে। আমাদেরও তাই আরো প্রস্তুতি নিতে হবে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে। কিন্তু অন্য দলগুলো আমাদের নিয়ে আরো সতর্ক থাকবে।’
প্রতিপক্ষ সতর্ক থাকার দুটি দিক দেখালেন সাকিব। সুবিধাও কিছুটা মিলতে পারে জিতে। তবে চ্যালেঞ্জটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বাস তার, ‘একদিক থেকে এটা ভালো যে প্রতিপক্ষ সতর্ক থাকা মানে নার্ভাসও থাকতে পারে। টেনশন কাজ করতে পারে। আবার, আরেক দিক থেকে খুব ফোকাসডও থাকবে ওরা। অনেক সময় হয় যে ফোকাস একটু কম থাকলে হয়তো আমরা সেটা কাজে লাগালাম। কিন্তু এখানে এখন সবাই খুব ফোকাসড থাকবে। সেখানে আমাদের ভালো করতে হবে।’