জেলা আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নে মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার
বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা অওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে। গতকাল ১০ জানুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সম্মুখস্থলে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। পরে সকাল ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ, বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি চাঁদপুর জেলা শাখা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ জেলা ইউনিটসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচির উদ্বোধনপর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। আমরা মানুষের এই বিশ্বাসের মর্যাদা বজায় রেখেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দল পরিচালিত হবে। কিছু লোক দলে থেকে নিজেদের সুবিধার জন্যে বিবাদ-বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। আমরা কোনো বিবাদ-বিভাজনের রাজনীতিতে বিভ্রান্ত হবো না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাবো-এই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের আজকের এইদিনে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লন্ডন যান, লন্ডন থেকে ভারতের দিল্লী হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তাই বাঙালি জাতির কাছে আজকের এইদিনটি বড়ই গৌরবের দিন, আনন্দের দিন। আজকের এইদিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছি। তিনি ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ছাত্রজীবন থেকে দুঃশাসন, অপশাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। যার ফলে তিনি জীবনের সিংহভাগ সময় কারাভোগ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারতো না। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও সমপ্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন পূরণে সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোনো অপশক্তি যাতে এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পরিক্রমায় এদেশের ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগ্রত করে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা সেই স্বপ্নকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশের পাকিস্তানী পা-চাটা কুলাঙ্গাররা। স্বাধীনতার সেই পরাজিত শক্তিরা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে একের পর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে। কিন্তু সকল অপশক্তিকে পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীগণ কোনো ষড়যন্ত্রকেই বাস্তবায়ন হতে দেবো না, সকলে মিলে এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব ভূঁইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক শাহআলম মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সালাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রফিক উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সালাউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু পাটোয়ারী, ঝন্টু দাস, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ গাজী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চাঁদপুর জেলা ইউনিটের আহ্বায়ক আবু নাসের পাটোয়ারী বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।