• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

এমপিওভুক্তির বিষয়ে এমপি শফিকুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদে চাঁদপুরে যুবলীগের ক্ষোভ ও নিন্দা

অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি

প্রকাশ:  ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্প্রতি দেশের দুই সহ¯্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের লেখা একটি কলামের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন চাঁদপুর জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর য্বুলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা গতকাল ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ প্রতিবাদ সভায় এ ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানান। একই সাথে অবিলম্বে পত্রিকায় বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা না হলে এমপি শফিকুর রহমানকে চাঁদপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ার করেন।
জেলা, সদর উপজেলা এবং পৌর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে বক্তারা বলেন,  ডাঃ দীপু মনি এমপি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর কিছুদিন আগে সারাদেশে ২৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে চাঁদপুর জেলায় রয়েছে ৩১টি।  এর মাঝে কোথাও কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে এ কথা কেউ বলতে পারবে না। ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার আগেও সততা ও নিষ্ঠার সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও তাঁর পক্ষপাতিত্ব নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন নি। ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুরবাসীর অহঙ্কার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন ও বিশ^স্ত। তিনি শুধু মন্ত্রী-এমপিই নন, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষানীতিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখনই গাত্রদাহ হলো শফিকুর রহমান সাহেবের। তিনি গত ২৬ অক্টোবর প্রকাশিত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় লিখলেন ‘শেখ হাসিনা তার কাজ করছেন, আমরা কি করছি’ শিরোনামে একটি কলাম। এ লেখার মাধ্যমে তিনি ডাঃ দীপু মনিকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন। তিনি নাকি এমপিওভুক্তির মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। বক্তারা  সাংবাদিক শফিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার এ ধরনের চিন্তা চেতনার প্রতি আমরা ধিক্কার জানাই। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে, তা হয়েছে ক্রাইটেরিয়ার বিচারে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। যদি হতো তাহলে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির পাশে অবস্থিত যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তাঁর বড়ভাই ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কামরাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজটিও এমপিওভুক্ত হতো। কিন্তু তা হয়নি। তাই আপনার উদ্দেশ্যে বলছি, কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজের যোগ্যতা যাচাই করুন। আপনার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু আছে, আপনি কী করেন তাও মানুষ জানে। গাঞ্জুটি-নেশাখোররা ধরা পড়লে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে তৎপর হয়ে উঠেন, অথচ দলীয় নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়লে আপনার খবর থাকে না। জনকণ্ঠে লেখনীর মাধ্যমে মিথ্যাচার করার জন্যে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এমপি শফিকুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
পৌর য্বুলীগের আহ্বায়ক আঃ মালেক শেখের সভাপ্রধানে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি, সদস্য গাজী আঃ গণি। সদর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শিমুল হাসান সামনুর পরিচালনায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম মিয়াজী, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী প্রমুখ।