• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে চাঁদপুরের রিপন শক্ত অবস্থানে

প্রকাশ:  ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের মনিহার গ্রামের সন্তান কামরুল হাসান রিপন আসন্ন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বের জন্য ইতিমধ্যে কামরুল হাসান রিপন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সুনাম কুড়াতে সমর্থ হয়েছেন। চলতি ২০১৯ সালে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় এলামনাই-এর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।
রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা কামরুল হাসান রিপন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে নির্বাচন করে ৮শ’ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। এর আগে তিনি রাজধানীর দনিয়া কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক (১৯৯৮-২০০২), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি (২০০৩-২০১০), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি (২০০৬) পদে আসীন ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে সেসময় ৩ বার কারাবরণ করেছিলেন তিনি। তৎকালীন সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকাকালীন বিএনপি, জামাত রিপনের নামে ১৫টি মামলা দায়ের করে।
সম্মেলনকে সামনে রেখে কামরুল হাসান রিপন বলেন, দলের দুঃসময়ে যারা জীবন বাজি রেখে দলের জন্যে কাজ করেছেন, রাজপথে থেকেছেন, আন্দোলন করেছেন, তারাই যেন নেতৃত্বে আসে। সে সময় যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কোর্টে তোলা হয় তখন সর্বপ্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের মিছিল বের করা হয়, সেই মিছিলে পুলিশ ও র‌্যাব ব্যাপক লাঠিচার্জ করলেও তা উপেক্ষা করে মিছিল চলতে থাকে। ছাত্র জনতার সেই মিছিল জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। ওই ঘটনায় ৫টি মামলা করা হয়, যার মধ্যে প্রধান আসামী ছিলাম আমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তি নিশ্চিত ছিলো না। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেপথ্যে বঙ্গবন্ধুর সুনিপুণ দক্ষতা, কৌশলী নেতৃত্ব মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছে। বাংলার মানুষের মধ্যে মুক্তির স্বপ্ন, স্বাধীনতার বীজমন্ত্র গ্র্রোথিত করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল বঙ্গবন্ধুর। আসন্ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে রিপন বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষ ও দেশের জন্যে। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে পূর্বেও ছিলাম না এখনও নেই। আমাকে যদি দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে দায়িত্ব পেলে আমি তরুণদের জন্যে কিছু করতে পারবো। নেত্রী যেভাবে চান আমি সেভাবে দায়িত্ব পালন করবো। আমি নিজেকে একজন ভালো সংগঠক বলেই মনে করি। যদি দল আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে মুজিব আদর্শের লড়াইয়ে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করতে আমি জীবন বাজি রেখে সঠিক ও সৎ উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ পরিশ্রম করবো।