চাঁদপুর লকডাউন পরিস্থিতি এবং বিশ্লেষণ
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২০, ২৩:৫৪
অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার
প্রিন্ট
১০ মে থেকে সকল মহলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চাঁদপুরকে পূূর্ণ লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি দোকান মালিক সমিতিও তাদের দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন , সেনাবাহিনী এবং সেচ্ছাসেবকরা। ইতিমধ্যে চাঁদপুর নাগরিক কমিটিও এই সিদ্ধান্তের সাথে সহমত পোষণ করে প্রেস রিলিজ দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে।
১। তবে শহরে এখনো কিছু অটো চলাচল করে। অটোগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। কারণ এই অটোগুলো থেকে করোনা বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা বেশী। কারণ অটোগুলোতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার কোন ব্যবস্থা নেই। এই অটোগুলোই শহরে মানুষের মোবিলাইজেশ বাড়িয়ে দেয়। তাই অটোগুলো বন্ধ না কেরলে লকডাউন কার্যকরী হবে না।
২।
কাঁচাবাজারগুলোতে আরেকটু নজরদারী বাড়ালে ভাল হবে। অন্তত সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে যেন ক্রেতারা বাজার করে।
৩। শহরের মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। নিজেদের সুরক্ষা দেবার জন্য প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলতে হবে। নাগরিকরা যদি সহযোগিতা না করে তবে লকডাউন কার্যকরী হবে না। আমরা নাগরিকরা লকডাউন চাইবো কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানবোনা সেটাতো হতে পারে না। তাই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন।