লঞ্চ-ট্রেন-বাস চলাচলে স্টেশনগুলো সরগরম
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ রোধে টানা ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে সরকারি ঘোষণায় সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও লঞ্চ, ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল ২৪ মে সোমবার ভোর থেকেই সিডিউল অনুযায়ী এসব গণপরিবহন চলাচল শুরু করে। দেড় মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় লঞ্চ, ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু করায় আগের চেহারা ফিরে এসেছে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডে। তবে ৩টির মধ্যে একটি মাত্র ট্রেন সাগরিকা চলেছে। চট্টগ্রাম থেকে আসার পর দুপুর আড়াইটায় সেটি বড়স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার জানান, আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে মেঘনা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে এবং ট্রেনের সব টিকিট দেয়া হবে অনলাইনে।
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল থেকেই যথারীতি কুমিল্লা-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বাস ছেড়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর পর বোগদাদ বাস চলেছে বলে জানা যায়।
চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহআলম জানান, সোমবার প্রথমদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দশটি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে পৌঁছে আরও ৯টি লঞ্চ। ভোর ছয়টা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তবে যাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন কম দেখা যায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। সরকারি এ নিয়মের কারণে ট্রেনের ভাড়া না বাড়লেও লঞ্চ ও বাস যাত্রীদের গুণতে হবে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া।
গতকাল সরজমিনে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দৃশ্যপট সেই আগের চেহারায় রূপ নিয়েছে। টার্মিনাল ইয়ার্ডে সারি সারি অটোবাইক এবং সিএনজি অটোরিক্সার লাইন। টার্মিনালের দোকানগুলোতেও বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
রফ রফ ও মিতালী লঞ্চের মালিক প্রতিনিধি সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ জিল্লু জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ায় কিছু লঞ্চের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। ৫৪ দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের সবারই চরম দুর্দিন গেছে। পুনরায় লঞ্চ চালু হওয়ার প্রথম দিন মোটামুটি যাত্রী হচ্ছে।