ভোটের দৌড়ে তৃণমূলকে প্রায় ধরে ফেলেছে বিজেপি : জরিপ


পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াইয়ে ক্রমেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছে বিজেপি। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, এবার তা অনেকটাই কমে আসবে। তবে ম্যাজিক ফিগার, অর্থাৎ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কেউই। সম্প্রতি নির্বাচনপূর্ব এক জরিপে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১২ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স জরিপ চালানো হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অন্তত ১১ হাজার ৯২০ জন।
জরিপের ফলাফল বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ১৩০টি থেকে ১৪৬টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। সেখানে বিজয় নিশ্চিত করতে দরকার হয় ১৪৮টি আসন। অর্থাৎ, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে মমতার দল।
এবারের নির্বাচনে আসনের পাশাপাশি ভোটও কমছে তৃণমূলের। ২০১৬ সালে ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশে। এবার তা আরও কমে ৪০ শতাংশ হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে এসেছে, তত সমর্থন বেড়েছে বিজেপির। নতুন জরিপে বিজেপি ১৩০টি থেকে ১৪০টি আসন পেতে পারে বলে জানানো হচ্ছে। ফলে এবছর ভোটের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে ২০১৬ সালের তুলনায় বিজেপির ভোট অনেকটা বাড়লেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় তা কমে যাবে। ২০১৬ সালে ১০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে তা বেড়ে হয়েছিল ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ। এবার তা কমে ৩৮ শতাংশ হতে পারে।
এবিপি আনন্দ-সিএনএক্স জরিপ বলছে, বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সংযুক্ত মোর্চা ১৪ থেকে ১৮টি আসনে জিততে পারে। গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় তাদের ভোট চার শতাংশের মতো বেড়ে ১৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
এসব দলের বাইরে অন্যদের দখলে যেতে পারে অন্তত ছয়টি আসন।
অবশ্য নির্বাচনপূর্ব জরিপের সঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরি না-ও মিলতে পারে। আগেও এমনটা দেখা গেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে বিজয়মালা শেষপর্যন্ত কার গলায় উঠছে তা নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্তই।