• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দেশের ১৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবার আভাস

প্রকাশ:  ২৬ জুলাই ২০২০, ১৩:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরসহ দেশের ১৬ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ২৫ জুলাই শনিবার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ি, শরিয়তপুর, ঢাকা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া ও নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

অপরদিকে আগামী ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

চাঁদপুর জেলাসহ আশেপাশের নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক আবহাওয়া মডেলের তথ্য অনুযায়ী ভারতের আসাম, মেঘালয় এবং হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বর্ষণ কমে আসলেও আগামী তিন/চারদিন আসাম এবং হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

উত্তরাঞ্চলে বন্যা এবং উজানের ঢলে মেঘনা নদীর চাঁদপুর অঞ্চলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকালে জোয়ারে পানি কম থাকলেও সান্ধ্যকালীন জোয়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এ সময় মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়। ২৫ জুলাই জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর শহর এলাকার অনেক স্থান প্লাবিত হয়। চরাঞ্চলসহ পদ্মা-মেঘনার পাড়ে বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। থেমে নেই নদী ভাঙ্গনও।

জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, হাইমচরের মাঝেরচর, ঈশানবালা এবং চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে এখনো ব্যাপকভাবে নদী ভাঙ্গছে। এতে বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী মধ্য চরে পানি বন্দী ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।