করোনার ভ্যাকসিন যেন সবার হয়: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেছে। ট্রাম্প গতকাল ঘোষণাটি দেওয়ার পর ৩৭ দেশকে নিয়ে সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে, যেন কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক, ওষুধ বা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণকারী কিছু আবিষ্কার হলে তা কোনো একটি দেশের কুক্ষিগত না হয়ে এর মালিকানা অনেক দেশের হাতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, চীনসহ একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধের সন্ধানে গবেষণা চলছে। বিশ্বে এমন গবেষণার সংখ্যা ১২৫টিরও বেশি। দরিদ্র, উন্নয়নশীল কিংবা ছোট দেশগুলোর চিন্তা, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর তা হাতে পেতে এসব দেশ পেশীর জোর দেখানো শুরু করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কোনো আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পেটেন্টের (মালিকানা স্বত্ত্ব) ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মহামারি এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা সবার আগে মাথায় রাখা উচিত।’
তবে আশার খবর হলো আক্রান্ত ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ এখন সুস্থ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনার সম্ভাব্য যে ১২৫টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে এরমধ্যে দশটি মানবদেহে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। অনেকে বলছেন, সেপ্টেম্বর কিংবা বছরের শেষ নাগাদ তা প্রস্তুত হবে।
বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও অঞ্চল করোনায় আক্রান্ত। ৬০ লাখেরও বেশি সংক্রমিত মানুষের ৩ লাখ ৭১ হাজার মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রেই সংখ্যাটা ১ লাখ ৫ হাজার এর বেশি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজ়িলে আক্রান্ত ৫ লাখের ২৮ হাজার মারা গেছে। রাশিয়াতেও করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
কিন্তু লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বহু দেশই। অনেক দেশে তা তুলেও নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি এখন ধুঁকছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন আর্থিক মন্দার মুখে কখনো পড়েনি। তাইতো ইতালি, স্পেনের পর লকডাউন শিথিল হলো ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসেরও।