এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থবহ স্থানীয় ও বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘লিডারস ডায়ালগ অন লোকালাইজিং এসডিজিস’ শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা সমানভাবে প্রয়োজন।
“আমি নিশ্চিত যে, আমরা সবাই মিলে সমাজের নিচের দিকে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেও আমরা টেকসই উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে পারি।”
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণ হল একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ কৌশল প্রক্রিয়া।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা থেকে শিক্ষা নিয়ে এসডিজিতে তা সংযুক্ত করেছি।”
এসডিজি বাস্তবায়নে সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান বিষয়ে উদ্ভাবনী পর্যবেক্ষণ কাঠামো এবং অনলাইন এসডিজি ট্র্যাকার চালু করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নির্ভুল ডেটা সংগ্রহ প্রক্রিয়া এবং তা ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ডেটা সমন্বয় কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বেসরকারি খাত ও দায়িত্বশীল সিভিল সোসাইটিকে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা সম্পদ প্রবাহ এবং উদ্ভাবনী অর্থায়নের চেষ্টা করছি।”
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন।”
কার্যকরভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়করণে বাংলাদেশ সরকার ৪০টি সূচক নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক প্রমুখ।