সাগরের ইলিশে ভরপুর চাঁদপুর মাছঘাট
এতোদিন চাঁদপুর ঘাটে ইলিশের চাপ ছিলো কম। গত তিনদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় সেই ইলিশে ঠাসা চাঁদপুর মাছঘাট।
গত দুদিনে ৫/৬ হাজার মণেরও বেশি ইলিশ চাঁদপুর থেকে মোকামে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আড়তে ইলিশের ব্যাপক আমদানি লক্ষ্য করা গেলেও দাম এখনো চড়া। কেজিওয়ালা প্রতি মন ইলিশ ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সাইজের ইলিশের মণ ঊনিশ থেকে বিশ-বাইশ হাজার টাকা। অর্থাৎ ছোট আকারের ইলিশ কিনতে হলে কেজি পড়ছে পাঁচশ’ টাকার উপরে। মধ্যম সাইজের ইলিশের কেজি সাত/আটশ’ টাকা।
সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনতে পারছেন না। দাম শুনে অবাক হচ্ছেন। এতো ইলিশ কিন্তু দাম না কমায় হতাশ নি¤œ আয়ের মানুষ। বেশি আমদানিতেও খুশি নন তারা।
শুক্রবার বিকেলে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শবেবরাত হাজী, বাবুল হাজী, ছোট রব চোকদার, কৃষ্ণা, গফুর জমাদারের আড়তে প্রচুর ইলিশ এসেছে। আগের দিন কালু ভূঁইয়া, ইকবাল বেপারী, কুদ্দুছ খাঁ, উত্তম দের আড়তে অনেক মাছ বিক্রি হয়েছে। এসব আড়তে নদী পথে ফিশিং বোট বোঝাই হয়ে এবং সড়ক পথে ট্রাক-পিকআপে করে শত শত মণ ইলিশ চাঁদপুর ঘাটে আনা হয়।
ভোলার চরফ্যাশন সামরাজ ঘাটের ইলিশ পাইকার নেয়ামত (৪৮) জানায়, প্রায় ত্রিশ মণ ইলিশ বাবুল হাজীর আড়তে বিক্রি করেছেন। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই তিনদিন দক্ষিণাঞ্চলের কালকিনি, ডালচর, সামরাজ, পাতিলা, মনপুরা, টুরকী এলাকায় জেলেরা এখন বেশি ইলিশ পাচ্ছে।
আগের বেশ কিছুদিন ইলিশ পাওয়া গিয়েছিল হাতিয়ার সাগর জেলেরা। এখন পাচ্ছে দক্ষিণের পটুয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের জেলেরা। কিন্তু চাঁদপুরের জেলেদের কপাল মন্দ। এখানকার পদ্মা-মেঘনায় প্রত্যাশিত ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে সবাই অপেক্ষা করছেন একুশ দিনের অভিযানের সময়ের জন্য। কারণ ওই সময় মা ইলিশ পেটে ডিম নিয়ে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ধাবিত হবে এবং প্রজননের জন্যে ডিম ছাড়বে। ঠিক তখন দেখা মিলবে এই নদীতে নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশের। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে উৎসব চলবে ইলিশ ধরার।