অনিয়ম রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে নজরদারি করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
অনিয়ম রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অচিরেই অনলাইনে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে হাইমচর উপজেলায় দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি শিশুকাল থেকেই যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরী ও মাদ্রাসাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে আমাদের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা অনলাইনের মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিংয়ের চিন্তা-ভাবনা করছি। খুব শীঘ্রই আমরা এ ব্যবস্থা করতে পারবো। যাতে করে বিভিন্ন সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ও অনিয়মের কথা শুনি সেগুলো তাৎক্ষণিক বন্ধ করা যায়। যদি খুব ভালো মনিটরিং করা যায়, তাহলে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে পারবো বলে আশা করি। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ১০ বছর ধরে দেশে যে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে তারই ধারাবাহিকতা শিক্ষা সেক্টরেও চলছে। আমরা চাচ্ছি শিশুকাল থেকেই যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে মূল্যবোধ সৃষ্টি হয়। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যেই কারিকুলাম রয়েছে তার মধ্যে আমরা সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করছি।
দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন একটি কার্যক্রম শুরু করছি ‘মুক্তিযুদ্ধকে জানো, বঙ্গবন্ধুকে জানো’। এর মধ্য দিয়ে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তার এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কী ঘটেছিল তা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে সেই ইতিহাস তুলে আনবে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানবে, বঙ্গবন্ধুকে জানবে। তার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে দেশ প্রেম গড়ে উঠবে, দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে। আর তখনই এ দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও মমত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করি আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নূর হোসেন পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, হাইমচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন প্রমুখ।
গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হাইমচর উপজেলার ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে।