সাগরের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের মাছঘাট
টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। আার সেই ইলিশে সয়লাব চাঁদপুর মাছঘাট।
নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে কাক্সিক্ষত রূপালি ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে মৎস্যজীবী, আড়তদার, ব্যাপারি, চালানী ও আড়ৎ শ্রমিক-কর্মচারীর মুখে। গত দুদিনে গভীর সমুদ্রে থাকা ইলিশ বোঝাই ১৫/১৬টি ফিশিং ট্রলার চাঁদপুরের প্রধান ইলিশ বিক্রয়কেন্দ্র মাছঘাটে ভিড়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে সাগরের ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলোকে ঘাটে ভিড়তে দেখা গেছে। পাশাপাশি সড়ক পথে ট্রাক-পিকআপে ঝুড়িভর্তি বিপুল পরিমাণ ইলিশও এসেছে। এসব ট্রলার ও ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে ইলিশ। কেউ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ আড়তের পাল্লায় ইলিশ ওজন দিচ্ছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ ব্যস্ত বাজারজাত করতে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দামও কিছুটা কম। ৪শ’ ৫০ থেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ’ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচশ’ টাকা। ৬শ’ থেকে ৭শ’ ৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ছয়শ’ পঞ্চাশ থেকে সাতশ’ টাকায়। এছাড়া ৮শ’ ৫০ গ্রাম থেকে ৯শ’ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে নয়শ’ থেকে এক হাজার টাকায়। ১ কেজির উপরের ইলিশের দাম হাজার বারোশ’ টাকায়। মাছের আকার ভেদে প্রতিমণ ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭/১৮ হাজার টাকা হতে শুরু করে ৩৫ ও ৪২ হাজার টাকায়।
ঘাটের লোকজন জানায়, গত কদিনে হাজী আঃ মালেক খন্দকার, গফুর জমাদার, কালু ভূঁইয়া, ছোট সিরাজের আড়তে সবচেয়ে বেশি মাছ এসেছে। নামার ও লোকাল ইলিশের চালান ঘাটের সব আড়তে কমবেশি দেখা যাচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিঃ-এর সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত হাজী বলেন, সাগরে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ আসছে। বেচা-কেনাও ভালো হচ্ছে। তবে আমাদের মেঘনায় মাছ ধরা পড়ছে কম।