ঢাকাসহ ৩ জেলা ছাড়বেন এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ
ঈদযাত্রায় ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাড়বেন এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ঢাকা থেকেই যাবেন এক কোটি ১০ লাখ মানুষ। গাজীপুর থেকে যাবেন ২৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। ১১ লাখ ৫০ হাজার যাবেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। এই বিপুলসংখ্যক ঘরমুখী যাত্রীর ৫৫ শতাংশ সড়কপথে ও ২৫ শতাংশ নৌপথে যাবেন। বাকি ২০ শতাংশ যাবেন রেলপথে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংশ্নিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংগঠনগুলো এ সংক্রান্ত 'পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ' সংরক্ষণ না করায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ঈদের আগে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এতে প্রতিবেদনটিও 'শতভাগ তথ্যনির্ভর' কিংবা 'বস্তুনিষ্ঠ' করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি ঈদে আনুমানিক ৫০ শতাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যান। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়েন ৩০ শতাংশ মানুষ। এ হিসাবে এবার ঈদে এক কোটি মানুষ ঢাকা শহর ছাড়বেন। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়ছেন যথাক্রমে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ও ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। এছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ- এই চারটি সিটি করপোরেশনের বাইরের তিন জেলার অন্যান্য স্থান থেকে আরও ২০ লাখ মানুষ ঈদে ঘরমুখী হন। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ১০ লাখ, গাজীপুরের ৬ লাখ ও নারায়ণগঞ্জের ৪ লাখ মানুষ। সব মিলিয়ে তিন জেলার এক কোটি ৪৭ লাখ মানুষ এবার ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে, নৌ ও সড়ক পরিবহন সংশ্নিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও গণপরিবহন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের গবেষকদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, কার্যত গত বৃহস্পতিবার ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে, যা মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। এই ছয় দিনে বিপুলসংখ্যক মানুষের চাপ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা দেশের সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থায় নেই। তাই ঈদযাত্রীদের মোটেও দুর্ভোগ হবে না- এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পাশাপাশি সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি তো রয়েছেই। তাই নিরাপদ ঈদযাত্রার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্নিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।