• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রশ্নোত্তর পর্বে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

দুদকের লোক চাঁদাবাজি করবে এ আশঙ্কায় বিভিন্ন জেলা থেকে দুদক অফিস গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি

প্রকাশ:  ২১ মে ২০১৯, ১৪:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত দু’দিন চাঁদপুর সফর করেছেন। তিনি গত ১৮ মে চাঁদপুর এসে সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। পরদিন চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জে ছিলো তাঁর ব্যাপক কর্মসূচি। ১৯ মে রোববার জেলার সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের পর তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকদের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নিজ জেলা চাঁদপুরে তাঁর এ সফরটি ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মতবিনিময় সভাটি ছিলো খুবই প্রাণবন্ত এবং স্বতঃস্ফূর্ত। জেলা পর্যায়ের সকল সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। তিনি তাঁর নিজ জেলাটিকে কেমন দেখতে চান এ বিষয়ে তাঁর অভিপ্রায় নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে খোলামেলা কথা বলেন। বিশেষ করে আগামী বছরটি হবে ‘মুজিব বর্ষ’। অর্থাৎ ২০২০ সাল হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর। মুজিব বর্ষে দুদক চেয়ারম্যান তাঁর নিজ জেলা চাঁদপুরকে দুর্নীতিমুক্ত অথবা সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা হিসেবে দেখতে চান।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উক্ত মতবিনিময় সভার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্বে এসে উপস্থিত যে কেউ দুদক চেয়ারম্যানকে বিনা দ্বিধায় প্রশ্ন করেছেন। দুদক চেয়ারম্যানও আন্তরিকতার সাথে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, দুদক অফিস বেশি হলে দুর্নীতি কমে যাবে এমনটা ভাবা ঠিক না। বরং বাস্তবতা হচ্ছে, কোথাও দুদক অফিস থাকলে সে অফিসের তথা দুদকের লোকজন দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের কাছে গিয়ে ধমক দিয়ে বা ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে। এ রকম ঘটনা ঘটেছে। আমি এসেও এ রকম অভিযোগে বেশ ক’জনকে চাকুরিচ্যুত করেছি। তিনি বিশে^র একটি দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, যে দেশে একটি মাত্র দুদক অফিস। সেখান থেকেই সারাদেশে দুদকের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়া সারাদেশে ৩০টি অফিস আছে। আরো ১৫টি করার প্রস্তাবনা আছে। কিন্তু আমার খেয়াল হচ্ছে, অফিস যা বর্তমানে আছে সেগুলো থেকেই বেশ কিছু অফিস গুটিয়ে নেবো। আর এটি করবো মাঠ পর্যায়ে দুদকের লোক চাঁদাবাজি করবে এ আশঙ্কা থেকে।
ভিন্ন প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা কাউকে ভয় পাই না।  অনেক ক্ষমতা ধরকে আমরা আটকিয়েছি, তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীন, দুদকের টাকা ভোটে আসে না। বাজেটেও আসে না। দুদকের টাকা চার্জের মাধ্যমে আসে। আমাদের যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী আমরা সরকারের কাছে যা চাইবো, সরকার তা-ই আমাদেরকে বরাদ্দ দেবে। তবে চাওয়ার সময় আমরা সরকারের সক্ষমতা বিবেচনায় রাখি। অতএব দুদককে হালকা বা দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই।