ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহ’র আমন্ত্রণ
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ১৪তম ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ।রমজান মাসের শেষ দিকে মক্কায় অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সৌদি বাদশাহ’র পক্ষ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আমের ওমের সালেম ওমর। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন।।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি বাদশাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানিয়েছেন আমন্ত্রণের জন্য সৌদি বাদশাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবকে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন বিশেষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।জবাবে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে সিরিয়া ছাড়া ৫৭টি দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানগণ ওআইসির সম্মেলনে যোগ দেবেন।সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে।সম্মেলনের মক্কা ঘোষণায় ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী অর্ন্তভূক্ত হতে পারে এবং ওআইসি সদস্য রাষ্টগুলোর ঐক্য এবং সংহতি বজায় রাখার অঙ্গীকার অব্যাহত রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হতে পারে।
পবিত্র মক্কা নগরীর দিকে তাক করে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিষয় নিয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের তিন বছর পর এবারের ১৪তম ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।১৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের এপ্রিলে তুরস্কের ইস্তানবুলে। যাতে ৫০টি দেশ অংশগ্রহণ করে।ওআইসি হচ্ছে জাতিসংঘের পরেই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা, চারটি মহাদেশের ৫৭টি দেশ যার সদস্য। এটি মুসলিম বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের স্বার্থরক্ষা করে চলে।