ফরিদগঞ্জে প্রতারক চক্র থেকে সাবধান!
প্রতারকের বিরুদ্ধে এবার পুলিশও কঠোর অবস্থানে রয়েছে
পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদের বাজারকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারক চক্র তাদের অপতৎপরতা চালাতে তৎপর রয়েছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক ও হাট-বাজার কিংবা বাসা-বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে অবস্থা বুঝে তাদের শিকার হিসেবে গ্রামের সহজ সরল নারী-পুরুষের টাকা কিংবা স্বর্ণালঙ্কার অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নিতে নানা কৌশল প্রয়োগ করে। তবে এবার ওই প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে আটক করতে থানা পুলিশ প্রশাসন উপজেলার প্রতিটি এলাকায় কঠোর নজরদারি রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে।
গত রমজান মাসে এ চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ হারিয়েছে টাকা আবার কেউবা স্বর্ণালঙ্কার হারিয়ে পথে পথে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা গেছে। আর প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ছে বিশেষ করে বিভিন্ন প্রবাসী পরিবারের সহজ সরল বিভিন্ন বয়সের নারী কিংবা পুরুষ সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের বাজার করতে আসা মানুষগুলোর মধ্যে বিশেষ করে প্রবাসী পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয়। প্রবাসীর পাঠানো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের পিছু পিছু হাঁটে প্রতারক চক্র। এছাড়া ব্যাংকের ভিতরে ও বাজারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে অবস্থান নেয় প্রতারক চক্রের নারী-পুরুষ সদস্যরা। সুযোগ বুঝে এই প্রতারক চক্র তাদের বিভিন্ন কৌশলে প্রবাসী সরল মানুষ গুলোর টাকা-পয়সা স্বর্ণালঙ্কার সহ সব হাতিয়ে নিয়ে মুহূর্তেই গা ঢাকা দেয়।
এক প্রবাসীর বাবা জানান, গত বছর আমার পুত্রবধূ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে যাওয়ার সময় পথে এক নারী এসে প্রথমে তার সাথে খাতির করে। পরে একটি স্বর্ণের চেইন দেখিয়ে বলে তার খুব টাকার দরকার, এই কারণে সে স্বর্ণগুলো বিক্রি করবে। এ কথায় বিশ^াস করে ওই প্রবাসীর স্ত্রী তাতে রাজি হয়ে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্বর্ণ কিনে নেয়। বাড়ি এসে দেখে সেই স্বর্ণ আসল স্বর্ণ নয়। ইমিটেশনের গহনাকেই আসল স্বর্ণ বলে সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করে আসছে ওই চক্রটি। এ রকম অহরহ ঘটনা শোনা যায় বিভিন্ন এলাকায়। মাঝে মধ্যে এলাকাবাসীর জেরার মুখে প্রতারক চক্রকে এক পর্যায়ে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার একাধিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব গত শনিবার এ প্রতিনিধিকে জানান, পবিত্র রমজান ও ঈদের বাজারে যাতে করে কোনো নারী-পুরুষ প্রতারক চক্রের খপ্পরে না পড়ে সে ব্যাপারে পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের পাহারা বা কঠোর নজরদারি রাখতে প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিকে বার্তা দেয়া হয়েছে।