খাদ্যে ভেজালকারীদের কোনো ছাড় নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যারা খাবারে ভেজাল দেয় তারা সমাজের ও মানবতার শত্রু। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। তাদের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। শুধু রমজান মাসেই নয়, আমরা সারা বছরই জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চাই।সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে নিরাপদ খাদ্য ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনের পর মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে একযোগে, এক হয়ে কাজ করে এটিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে ভেজাল প্রতিরোধে নিজেরা যদি আরও সোচ্চার হন তাহলে ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।
পবিত্র রমজান মাসে ভেজালবিরোধী অভিযানে নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রচলিত আইনে শাস্তির যে বিধান রয়েছে দরকার হলে আইন সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এ খাদ্যে ভেজালের সর্বোচ্চ শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা।
ইদানিং নিরাপদ খাদ্য আইন সংশোধনের একটা দাবি উঠেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এইটুকু বলতে চাই, আইনটা প্রথম হয়েছে। আমরা প্রথমই যদি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দিতাম তাহলে সমালোচনা হতো। আইনটা পাস হয়েছে অর্থাৎ বাচ্চাটার জন্ম হয়েছে। সংযোজন-বিয়োজন অনেক কিছুই করা যেতে পারে। যদি আইন সংশোধনের দরকারই হয়, তবে যাবজ্জীবন-মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই করা যেতে পারে। জনগণের স্বার্থে অনেক কিছুই করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যে ভোজাল রোধে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট, সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল কোর্ট আছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিম আছে, জেলা প্রশাসনের আছে, র্যাবের আছে। আমার মনে হয় ৩০টি টিম কাজ করছে। মানুষকে ভেজালের বিষয়ে সচেতন করতে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা করছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমনকি মসজিদের ইমাম সাহেবদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগাচ্ছি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আইন উইং ছিল না। আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা সেই উইং চালু করেছি। আমরা সচেতন আছি।যুগান্তর’