• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ:  ২২ আগস্ট ২০২২, ১৪:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ায় মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রোববার দুপুরে নূরপুর গ্রামের মুক্তা মার্কেট সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোহাগের মা জাহানারা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৯ জুন ২০২২ তারিখ রাতে তার গোয়াল ঘর থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি গরু চুরি হয়। মামলায় নূরপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (৩২), পিতা : আবুল হাসেম, নূরে আলম হোসেন (২৪), পিতা : সফি উল্লাহ ও সোহাগ (৩২), পিতা : আবু তাহেরকে বিবাদী করে ওই গ্রামের আকমত আলী কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৬/১৭৭, তারিখ : ১০/০৬/২০২২। ওই মামলায় মিথ্যা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাদ্দাম, নূরে আলম ও সোহাগকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো না। পুলিশ অহেতুক তাদেরকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে থানায় নিয়ে এসে অমানবিক নির্যাতন করে। রিমান্ডে তারা চুরির সাথে জড়িত এমন কোনো তথ্য প্রমাণ পায়নি। তারা বেশ কিছুদিন জেল হাজত খেটে বর্তমানে জামিনে রয়েছে। তাদেরকে মামলায় জড়ানোর কারণে পরিবারের সদস্যরা হয়রানির শিকার হওয়াসহ আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিথ্যা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে সাদ্দাম, নূরে আলম ও সোহাগকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা ছাড়াও সাদ্দাম হোসেনের মা জোলেখা বেগম, নূরে আলম হোসেনের মা রাবেয়া বেগম ও সোহাগের পিতা আবু তাহের একই দাবিতে বক্তব্য রাখেন। মামলার ৩নং সাক্ষী নূরপুর গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র মোঃ হাছান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে দাবি করেন, তিনি ঘটনার দিন এলাকায়ই ছিলেন না। চুরির ঘটনা সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই। এ মামলায় তাকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাও তিনি জানতেন না। পুলিশ তদন্তে এসে তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

 

সর্বাধিক পঠিত