• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বর্ণিল আয়োজনে চাঁদপুরে দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

কালের কণ্ঠ দৈনিক প্রকাশনাতেই দায়িত্ব শেষ করে না, সামাজিক নানা কাজও করছে

-------------------মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান

প্রকাশ:  ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বর্ণিল আয়োজনে চাঁদপুরে কালের কণ্ঠের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান। শুভসংঘের বন্ধুরা নেচে-গেয়ে এবং হৈ হুল্লোড় করে কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের তিন নদীর মোহনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বড়স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। পরে হিলশা কিচেন পার্টি সেন্টারে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন একাত্তরের দুর্ধর্ষ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদ। এ সময় উপস্থিত শ্রোতারা দীর্ঘ একঘন্টা মন্ত্রমুগ্ধের মতো এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে তার বীরত্বগাঁথা শোনেন। পরে কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং শুভেচ্ছাস্বরূপ নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানসহ শুভসংঘের সদস্যরা। প্রধান অতিথি বলেন, কালের কণ্ঠ বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রকাশনা দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেনি, সামাজিক নানা কাজেও অংশ নিয়ে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৪৮ বছর পর এমন একটি দিন তার বাকি জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এজন্যে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া, কালের কণ্ঠ এবং শুভসংঘকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
কালের কণ্ঠ-শুভসংঘ, চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালের কণ্ঠের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহম্মদ, শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ভিভিয়ান ঘোষ, সহ-সভাপতি নুরুল কাদের, সমাজসেবক রন্টি পোদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভসংঘের সদস্য ছাড়াও শহরের বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
আলী আহম্মেদ ১৯৭১ সালে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তখন তিনি রাজধানী ঢাকার নিউ পল্টন হাইস্কুলের ছাত্র। তার বাবা ইডেন মহিলা কলেজের একজন নৈশপ্রহরী ছিলেন। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রথমে রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে আবারও ঢাকায়। সবশেষে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাড়ি জমান। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময় দেশে ফিরে সহযোদ্ধাদের নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় অসীম বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সহযোদ্ধা আর মুক্তিকামী মানুষের সহযোগিতায় দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন।
মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী এলাকায়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে কৃষি কাজ আর বাগান পরিচর্যা নিয়েই অবসর সময় কাটান তিনি।

 

সর্বাধিক পঠিত