বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার


রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ প্রায় ৩০ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর নিট রিজার্ভ বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসেব করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এক বছর আগে অর্থাৎ গতবছরের আগস্টের শুরুতে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সে সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নেমেছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস-প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এতে রিজার্ভের ওপর যে চাপ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম রিজার্ভের পরিমাণ ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রাখতে হয়।