একই দিনে জাতীয় ও ইউপি নির্বাচন করা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, একই দিনে জাতীয় ও ইউপি নির্বাচন এবং ইউপি নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করে মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করা যায় কি না সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, কারণ একই দিনে জাতীয় ও ইউপি নির্বাচন হলে কেউ বুথ দখল করতে পারবে না। বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি অফিস-আদালতে অনেক লোক নিয়োগ করা হয়, কিন্তু এত লোক দরকার নেই। আরও কম লোকে সরকার চলতে পারে। তবে পুলিশের সংখ্যা আরও দরকার। কারণ জটিলতার কারণে আইনশৃঙ্খলা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কারের বিষয়টি অনেক কঠিন ও ব্যাপক বিষয়। আমরা এখনো চিন্তা করছি কীভাবে এটা করবো। বসে বসে হয়ত অ্যাকাডেমিক কিছু করে দেওয়া যাবে তবে তা বাস্তবসম্মত হবে না। এজন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এ ব্যাপারে জনগণের মতামত নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তাতে পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স বেশি থাকে। আর এটাকে যদি আমরা মাল্টিপল ওয়ার্ডে করে দিই যে মেম্বাররা চেয়ারম্যানদের নির্বাচিত করবে। তাহলে ওখান থেকেই গণতন্ত্রটা শুরু হবে। তাহলে কেউ পুরো জিনিসটা দখল করে বসে থাকবে না। যদিও ‘এটা তার ব্যক্তিগত চিন্তা’-মন্তব্য করে তিনি জানান, এ বিষয়টি নিয়ে তিনি তার সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কারে এখন পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনেক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চাকরি আর চাকরির মতো থাকবে না। আমরা জনগণের চাকর। জনগণ আমাদের বেতন দেয়। নতুন করে আমাদের সবাইকে এটা ভাবতে হবে। অনেকে বলেন সেবা দান। তবে না, আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বিগত আমলে প্রশাসনকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই প্রশাসন শব্দটি বাদ দিয়ে অন্য কিছু বলা যায় কি না সেটিও চিন্তা করছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর মুসলিম মিশনের সম্পাদক এমএ সামাদ, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, বাকীগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, সনাক প্রতিনিধি শিপ্রা রায়, ব্যবসায়ী নেতা আওলাদ হোসেন প্রমুখ।