• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪

প্রকাশ:  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জের ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে মিলাদ ও কেক কাটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়াহাট বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। দিন-রাত উত্তপ্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের মহড়ায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় হামলার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের নেতৃত্বে কয়েকটি মসজিদে দোয়ানুষ্ঠান ও নয়াহাট বাজারে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ওইদিনই রাতের পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। রাত সাড়ে ৮টায় নয়াহাট বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি পুতুল সরকারের উপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু সময় পর ফের অপর পক্ষের হামলায় বিএনপি নেতা ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। হামলার ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ঈমান গাজী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব সবুর পাটওয়ারী রুবেল এবং বিএনপি সমর্থিত বৃদ্ধ বয়সী বিল্লাল হোসেন গাজী হামলার শিকার হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়।
এ ঘটনায় নয়াহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েকবার টহল দেয় এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন কালুর সভাপতিত্বে চির্কা চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অতীতের সকল মামলা-হামলা ও হয়রানি ভুলে তাদের ক্ষমা করে দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম পারস্পরিক শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে। গতকাল স্বৈরাচারের দোসররা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এরপর তাদেরকে আর ছাড় নয়। আজকের পর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না। স্বৈরাচার হাসিনার দোসরদের প্রতিটি অন্যায়ের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ বেপারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফ পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদি হাসান মঞ্জু, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন মোল্লাসহ অন্যরা। প্রতিবাদ মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, নয়াহাট এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে আব্দুর রহমানকে আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে।