• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর জেলায় ৫৪ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে ১৯ হাজার ৭শ ৩১ জন

এইচএসসি শুরু রোববার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশ:  ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আজ রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। এ ছাড়াও মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি,মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ভোকেশনাল পরীক্ষা। এক-অভিন্ন সময় ও নিয়ম নীতিতে সকাল ১০ টা থেকে আরম্ভ পরীক্ষা। চাঁদপুরে এবার ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এইচ এসসি ও সমমানের ৫৪ কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ১৯ হাজার ৭শ ৩১ জন পরীক্ষার্থী।চাঁদপুর জেলা প্রশাসন শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায় এ তথ্য। এর মধ্যে জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১শ ২০ জন এবং কেন্দ্র ৩৪টি, মাদ্রাসা বোডের্র আলিম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৫ শ’ ৭৮ এবং কেন্দ্র ১১ টি । ব্যবসা ব্যবস্থাপনা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শ’১৭ জন ও কেন্দ্র ৭টি এবং ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন ও কেন্দ্র ২টি। এবারও নকলমুক্ত এবং সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।পরীক্ষার হলে সকল ধরনের অসাধু উপায় বর্জনের জন্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যদি কোনো শিক্ষক অসাধুপায় অবলম্বন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি সভায় এই কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক । চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা– পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন: পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে মন্ত্রণালয়।