মফস্বলের লেখা ও কবিতা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয় : লিয়াকত আলী লাকী
‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগম’র জীবন ও কর্ম নিয়ে স্বরচিত সাহিত্য পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ মে শুক্রবার বিকেল ৫টায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী। দীর্ঘদিন পর কবি ও লেখকদের পদচারণায় মুখরিত হয় সাহিত্য একাডেমী প্রাঙ্গণ।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর অর্ন্তবর্তীকালীন (এডহক) কমিটির সদস্য কাদের পলাশের সঞ্চালনায় সওগাদ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ও নূরজাহানের জীবন ও কর্ম নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেন ম. নূরে আলম পাটওয়ারী। এরপর স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেন নবীন কবি ও লেখক ইয়াছিন দেওয়ান। আলোচনায় অংশ নেন চাঁদপুরের প্রবীণ লেখক আব্দুল গণি, চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি লেখক পরিষদের সভাপতি শামীম আহমেদ , অনুবাদক মাঈনুল ইসলাম মানিক, লেখক ও গবেষক ফরিদ হাসান, কবি ও লেখক আশিক বিন রহিম প্রমুখ।
এরপর হঠাৎ সাহিত্য একাডেমী প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন দেশের বরেণ্য সংস্কৃতিজন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (সৌম্য ছালেক) ও চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার দিতি সাহা।
তাঁদের উপস্থিত কবি ও লেখকদের মধ্যে আরও আলোড়িত করে। অতিথির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, জেলা পর্যায়ে এমন সাহিত্য আড্ডার আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ। সাহিত্যের সাথে আমি আছি এবং থাকবো। এমনিক চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর পাশেও আমি আজীবন থাকবো। কারণ আমাদের সংস্কৃতির জাগরণ আরো সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মফস্বলের লেখকদের লেখা ও কবিতা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তাদের লেখককে যথাযথ মূল্যায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়। তাই সাহিত্য চর্চা আরো বেশি বেশি করতে হবে।
কবি ও লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সভাপতি অ্যাডঃ শরীফ মাহমুদ ফেরদাউস শাহীন, স্বপন ভঞ্জ, পলাশ কুমার দে, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক এইচএম জাকির হোসেন, কবি ও লেখক জাহিদ নয়ন, কবির হোসেন মিজি, আরিফুল ইসলাম শান্ত, সুমন কুমার দত্ত, বিথী নন্দী, অভিজিত আচার্যী প্রমুখ