• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

তীব্র দাবদাহে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি চরমে

চাঁদপুরে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে লাগাতার ক’দিনের তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন দাবদাহ বেড়ে গেছে অন্যদিকে কৃষকের বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়ে পাকা ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকেরা দিনভর শ্রম দিচ্ছেন।
অপর দিকে কঠিন রোদ উপেক্ষা করে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গদি ঘর লেবাররা গায়ের ঘাম ঝরিয়ে বিভিন্ন পণ্য ও মালামাল আমদানি-রপ্তানি কাজে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে চাঁদপুরে ৩৬ থেকে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। চাঁদপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শুক্রবার ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহের কারণে শ্রমজীবী পরিবারে আয় উপার্জনেও পড়েছে ভাটা। অন্য বছরগুলোতে মাঝে মাঝে সামান্য বৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলে। এবার এখনও ঝড়-বৃষ্টির দেখা মিলেনি। প্রচণ্ড রোদে বাইরে যেন লু হাওয়া বইছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক ও শ্রমজীবী মানুষ। দাবদাহে ফেটে চৌচির হচ্ছে ফসলি ক্ষেত। শাকসবজির ক্ষতিসহ ঝরে পড়ছে আমের কচি ফল। এছাড়া কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু-কিশোররা সকাল থেকে দল বেঁধে সাঁতার কাটতে চলে যাচ্ছে নদী-নালা, খালবিল ও ডোবার পানিতে। শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করে শনিবারও চাঁদপুর শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।  চাঁদপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখা।
    হাসপাতালে দাবদাহজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে পারতপক্ষে বাইরে যেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা কিংবা ঢিলেঢালা কাপড় গায়ে পরে বাইরে যেতে হবে। ঘন ঘন পানি পান করাসহ বিশ্রামে থাকতে হবে। তীব্র দাবদাহে রসালো ফল যেমন শসা, তরমুজ, বাঙ্গি ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। রাস্তাঘাটের তৈরি খবার ও পানি পরিহার করতে হবে।
এদিকে বৈশাখের চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। নিজের সর্বোচ্চ শক্তিমত্তা জানান দিচ্ছে সূর্য। শহর-গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতাপ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজ নয়, আগামীকাল ২৯ এপ্রিল সারা দেশে দিনের তাপামাত্রা কমে যেতে পারে। যা রাতেও অপরিবর্তিত থাকবে। তবে জলীয়বাষ্পের কারণে জনমনে অস্বস্তি বিরাজ করলেও আগামী ৫ দিন পর সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

সর্বাধিক পঠিত