ব্যভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রথমবারের মতো ব্যভিচারের মামলায় এক শিক্ষকের কারাদণ্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া এলাকার আবুল হাসানের ছেলে নাজমুল হাসান (৪০)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ জিয়াউল হক জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। এর আগে ২০২৩ সালের ৮ মে চাঁদপুরের শাহরাস্তি আমলি আদালতে নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মামলা দায়ের করেন শাহরাস্তি উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের এক শিক্ষিকার স্বামী।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই শিক্ষিকা এক সন্তানের জননী হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শিক্ষিকার স্বামী বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আইনগতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী ব্যভিচারের ঘটনায় বিচারিক সহজাত ক্ষমতাবলে নাজমুল হাসানকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেন।
রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী বলেন, ‘আমার স্ত্রী শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। আমার স্ত্রী পরিবারের কারও কথা কর্ণপাত করে না। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়।’ অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওই শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।’