ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ ও হালখাতা উৎসব
নববর্ষ মানেই বাঙালিদের মনে উৎসবের আমেজ। বছরে এদিনে ছোট-বড় সমস্ত সনাতন ব্যবসায়ী হালখাতা খুলাকে ঘিরে পূজার্চনা করে থাকেন। আর এভাবেই নববর্ষের সেই হালখাতার প্রচলন চলে আসছে।যাকে ঘিরে সারাবছরের লেনদেনের শুভারম্ভ হয় এই বিশেষ দিনটিতেই।পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ শব্দটি উচ্চারণ করলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হালখাতার আমেজ। হালখাতা ব্যাপারটি মূলত ব্যবসায়ীদের হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জীবনযাপনের খাতিরেই সংযুক্ত থাকে।
তাই হালখাতা উৎসবে সবার অংশগ্রহণ থাকে। এতে হিন্দু-মুসলিম পার্থক্য নেই। এই উৎসবে ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মিত গ্রাহক বা বাঁধা খদ্দের, বাকি-বকেয়াওয়ালা খদ্দের, পৃষ্ঠপোষক, শুভার্থী ও বন্ধুবান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে গদিতে বা দোকানে এনে সাধ্যমতো মিষ্টিমুখ করান। নতুন বছরের মিষ্টিমুখ হালখাতা উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। হিন্দু ব্যবসায়ীরা ব্যবসার উন্নতির জন্য গণেশ পূজা করেন হালখাতা অনুষ্ঠানে। শহরে ব্যবসায়ীদের দোকানেই পয়লা বৈশাখের জাঁকজমক আয়োজন। এই দিনে তাঁরা গণেশ পূজার মাধ্যমে নতুন হিসাবের খাতার পত্তন করেন।
সিদ্ধিদাতা গণেশ ঠাকুরের কাছে মন্দা থেকে মুক্তির প্রার্থনা সনাতন ব্যবসায়ীদের। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর হালখাতা উৎসব করছেন দেশের প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র ও চাঁদপুর জেলা শহরের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকা পুরান বাজারের হিন্দু ব্যবসায়ীরা। তারা পাঞ্জাবি পায়জামা সহ নতুন পোশাকের আমেজে দোকানে আগমন করেন এবং ব্যবসায় সমৃদ্ধি ঘটাতে গণেশ পুজোর মাধ্যমে আরাধনা শুরু করেন।দোকানে দোকানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণেশ পূজার পাশাপাশি বারোয়ারি পূজা মন্ডপে বাজার হিন্দু ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে এবারও আয়োজন করেন বড় আয়োজনের গণেশ পূজা।
পূজার অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, বাজার ব্যবসায়ী শেখর পাল, শিমুল সাহা, মানিক সাহা,টিটু সাহাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মুসলমানদের দোকানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন আল্লাহর নামে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিসমিল্লাহ বলে শুরু করেন।