হাজীগঞ্জে খাসের খালে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
হাজীগঞ্জে খাস জমির খাল দখল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ প্রায় শেষ করেছেন এমরান হোসেন বেপারী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের চার রাস্তার মুখে মালিগাঁও ব্রীজের পূর্ব দক্ষিণ পাশে তিনি সরকারি সড়কের শোল্ডার ও সরকারি খাল দখল করে পাকা দোকানঘরটি নির্মাণ করেন। তিনি ওই গ্রামের বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।
সরজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সরকারি পাকা সড়কের শোল্ডার ও খালের মধ্যে পিলার তুলে দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এমরান হোসেন। কাজটি অবৈধ হওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটি শুক্রবার ও শনিবারকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন। এখন শুধু সার্টার লাগানো বাকি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনে দিনে ব্রীজের পাশে সরকারি সড়কের শোল্ডার ও খাসের খাল দখল করে দোকানঘর তুলে চলছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এজন্যে সংশ্লিষ্টদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সড়কের শোল্ডার ও খাসের খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় কেউ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
সরজমিনে দেখা যায়, পাকা দোকানটির নির্মাণে সার্টার ব্যতীত সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পশ্চিম পাশেই আরো একটি দোকানঘর নির্মাণের জন্যে পাকা পিলার খাল হতে তুলে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় ওই দোকানঘরটিও নির্মাণ কাজে হাত দেয়া হবে। একই খালের উপর আরও কয়েকটি পাকা ও কাঁচা দোকানঘর রয়েছে এবং সবগুলোই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
এমরান হোসেন বেপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে পরিবারের লোকজন ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি (এমরান) বাড়িতে নেই। পরবর্তীতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভি না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হালিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। কিন্তু তিনি (এমরান) সরকারি ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) কাজে লাগিয়ে পাকা দোকান ঘরটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল বলেন, স্থানটি সরকারি সম্পত্তি। এ বিষয়ে ইউএনও স্যার আমাকে জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল মুঠোফোনে জানান, সরকারি খাল দখল করার কোনো সুযোগ নেই। সরজমিন পরিদর্শন করে দোকানঘরটি উচ্ছেদ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।