• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে পৃথক দুই অগ্নিকাণ্ডে তিন বসতঘর ও এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশ:  ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ফরিদগঞ্জে পৃথক দুটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়িতে ১৫ মার্চ শুক্রবার সকালে এবং বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উভয় স্থানে সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও হাইমচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়ির দিনমজুর খোরশেদ আলম খোকা, বিল্লাল হোসেন ও স্বামী পরিত্যক্তা লিলু বেগমের বসতঘরটি আসবাবপত্রসহ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফলে ৩টি পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। আগুনে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। রোজার সময় তাদের এমন সর্বনাশ নেমে আসায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হলো।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম কাউসারুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তার জন্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে।
এদিকে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের পশ্চিম লাড়ুয়া মহিলা মাদ্রাসার (মান্নানের দোকানের সামনে) দুলাল বেপারীর মালিকানাধীন তাকওয়া স্টোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দুলাল বেপারী জানান, ২৫ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর ২বছর পূর্বে বাড়িতে এসে মুদি দোকান দেই। পূর্বের মালামালের সাথে রমজান উপলক্ষে নতুন উঠানোসহ দোকানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো। রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে আগুন লেগে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম আসলেও ততক্ষণে আমার পুরো দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল ও সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে। তিনি জানান, রাতে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের সকল সুইচ বন্ধ করে গিয়েছেন। তার সন্দেহ, কেউ এই আগুন লাগিয়েছে।
পাশের দোকানের মালিক বোরহান গাজী বলেন, রাত সাড়ে এগারোটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। এরপর রাত ১টায় স্থানীয়দের ডাক-চিৎকারে ছুটে এসে দেখি দুলাল বেপারীর দোকানে আগুন জ্বলছে।
স্থানীয় আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, দুলাল বেপারী প্রবাসে থাকার পর বাড়ির সামনেই ফরিদগঞ্জ-হাইমচর সড়কের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে বড় মুদি দোকান দেন। গোডাউনসহ দোকানে প্রচুর মালামাল ছিল। রাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখে সব পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলেও ফরিদগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস রামপুর বাজারে এসে রাস্তায় পড়ে থাকা গাড়ির কারণে ঘটনাস্থলে আসতে বিলম্ব হয়। অপরদিকে অতি নিকটবর্তী হাইমচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন গড়িমসি এবং অপর উপজেলা হওয়ার কারণে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে থাকলেও আসতে দেরি করে। ততক্ষণে সবকিছুই পুড়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সর্বাধিক পঠিত