ফের উৎপাদনে চাঁদপুরের দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র
চাঁদপুরের দেড়শ’ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় চৌদ্দ মাস বন্ধ থাকার পর ফের চালু করা হয়েছে। ১২ মার্চ মঙ্গলবার পহেলা রমজান থেকে এটি আংশিকভাবে চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেছে বলে জানা গেছে। পুরোপুরি চালু করতে পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ থাকা চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র এক বছর দুই মাস পর চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে গ্যাস সঙ্কট থাকায় এখনই শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারছে না কেন্দ্রটি। বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ১৩ মার্চ বুধবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আকতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ১২ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিট থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হয়েছে।
২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বুয়েটসহ অন্যান্য অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা কয়েক দফা চেষ্টা করেও চালু করতে পারেনি এটি। এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে চালু হওয়ার কথা থাকলেও এলসি সংক্রান্ত জটিলায় তা সম্ভব হয়নি।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আকতারুজ্জামান আরও বলেন, ২০২২ সালে ৬ ডিসেম্বর রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যায় বন্ধ হয় দুটি ইউনিট। একটি ৫০ মেগাওয়াট এবং অপরটি ১০০ মেগাওয়াট। এখন ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। গ্যাস বুস্টার বিকল হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়। বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুর শহরের গুণরাজদী এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পর ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর এটির উৎপাদন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।