জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষকে স্বস্তিতে রাখাটা চ্যালেঞ্জ
চাঁদপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মার্চ মাসের সভা গতকাল রোববার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ্ত রায়, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র আব্দুল লতিফ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ প্রমুখ।
সভায় আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্য পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা বলা হয়। একই সাথে শহরের যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা সরজমিনে তা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া মাদক, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ অপরাধসহ আইন-শৃঙ্খলাজনিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধাণগণসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অযথা মূল্যবৃদ্ধি, অবৈধ মজুদ, ভেজাল পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে এবং বাজার মনিটরিংয়ের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময় ইফতার, সেহরি ও তারাবির সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং পরিহার করতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, মাদক, কিশোর গ্যাংসহ সামাজিক অপরাধ বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রমজান মাসে অপরাধ বৃদ্ধি না পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। রোজার মাসে সেহরি পার্টির নামে রাত জেগে কেউ যেনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে রমজানের যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষকে যাতে স্বস্তিতে রাখতে পারি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো-টলারেন্স নীতি রয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাসে বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। আসন্ন রমজানে নগরীর বিপণী-বিতানগুলোয় জনসমাগম বাড়বে। অগ্নি-দুর্ঘটনারোধে মার্কেটগুলোয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। মাদক ও কিশোর অপরাধ দমন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে আইনশৃঙ্খলা সঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই।