গলায় ফাঁস দিয়ে ৯ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা
হাইমচর উপজেলায় গলায় মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে আমিনুল ইসলাম বাবু (১৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের নয়ানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের কাটাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নয়ানী লক্ষ্মীপুর এলাকার আজিজুল হক রতন ঢালীর ছেলে ও কাটাখালী হামিদিয়া আলিম মাদ্রাসার দাখিল ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, ছেলেটি ভালো ছিলো এবং খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। তবে গত কমাস সে ঠিকমতো মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যেতো না। এ নিয়ে বাবা-মা ওকে বকাবকি করেছেন এবং ভালোভাবে পড়াশোনা করার জন্য বলে। তবে যখন সে ফাঁসি দিয়েছে, তখন বাড়িতে কেউ ছিলোনা। গতকাল ওর মামা মারা গেছেন সেই বাড়িতে ওর মা-বাবা ছিলো। পরে রাতে তার বাবা বাড়ি এসে দেখেন তার মরদেহটি ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পিতা আজিজুল হক রতন ঢালী বলেন, আমি বাজারে ছিলাম। মামা মারা গেছেন শুনে উনাদের বাড়ি ঘোষেরহাটে আমি এবং ওর মা গিয়েছি। আমি রাত ১১টায় বাড়ি এসে দেখি আমার ছেলেটা আর নেই, ফাঁসিতে ঝুলছে। ওকে কোনো দিক দিয়ে আমি কমতিতে রাখিনি। মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে ও পড়াশোনা করতেছিলো। তবে কিছুদিন যাবৎ ঠিকমতো মাদ্রাসায় যাচ্ছিলো না এবং পড়াশোনা করছিলো না। তাই আমি এবং ওর মা ঠিকমতো যেনো পড়াশোনা করে সেজন্য বকাবকি করেছি। প্রতিদিন ওকে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ৫০ টাকা অথবা ১০০ টাকা করে দিয়েছি। এরপরও কেনো এ ঘটনা করলো তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ২নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথেই থানা পুলিশের সাথে কথা বলি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় ময়না তদন্ত না করার জন্য। তাই আমি ছেলের বাবাকে নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করার জন্য অনুমতি নিয়ে আসি।
হাইমচর থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, বিষয়টি শুনে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং আমার পুলিশ ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে ছিলো। তবে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। ছেলেটি মৃত্যুর পূর্বে একটি চিরকুট লিখে গিয়েছে। সে তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে নাই।