থমকে আছে ৮শ’ ২০ কোটি টাকার চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প
![](/assets/news_photos/2024/02/12/image-33983-1707708168.jpg)
![](https://chandpurpost.com/templates/web-v1/images/icon_print_new.png?v=1.1)
চাঁদপুর শহরবাসীর বহুল কাক্সিক্ষত ৮শ’ ২০ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটির তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুতের মধ্যেই থমকে রয়েছে। কবে নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে তা দেখার অপেক্ষায় শহরবাসী। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
বর্ষা শুরু হলেই চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ৩ হাজার ৩শ’ ৬০ মিটার পুরাণবাজার ও নতুনবাজার এলাকার বেশ ক’টি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এর মধ্যে বড়স্টেশন মোলহেড, পাইলট হাউজ, যমুনা রোড, লঞ্চঘাটের টিলাবাড়ি, পুরাণবাজারের ব্যবসায়িক এলাকাসহ হরিসভা, পশ্চিম শ্রীরামদী ও নতুনবাজারের বেশ কিছু স্পট সর্বদাই ঝুঁকিপূর্ণ। যার কারণে শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি চাঁদপুরের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সবসময়ই বিবেচনায় থাকে।
স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত বছরের ডিসেম্বরে ৮২০ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন লাভ করে। এই প্রকল্পের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকার টিলা বাড়ি ঠোঁডা মারাত্মক ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। পুরাণবাজার হরিসভা ও বাজার এলাকার নদীর পুরানো বাঁধের স্থান দিয়ে মেঘনার নদীর গভীরতা অস্বাভাবিক।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী জানায়, সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার বড় প্রকল্প পাস হবার খবর পেয়েছি। শুনেছি বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলা হবে। শুষ্ক মওসুম চলে যাচ্ছে। চাঁদপুর নদী বন্দরের পুরাণবাজার ব্যবসায়িক এলাকা মারাত্মক ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। কবে বাঁধের কাজ শুরু হবে তা অনিশ্চিত। তবে আমাদের দাবি, প্রকল্পে হরিলুট ঠেকাতে এবং কাক্সিক্ষত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে স্থানীয় কোনো ঠিকাদার দিয়ে কাজ না করিয়ে সরাসরি যেনো সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পের কাজটি করানো হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের ৩ হাজার ৩৬০ মিটার এলাকার কাজের জন্যে ৮২০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কাজটি হলে পুরাণবাজার ও নতুনবাজার এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। কাজটির নকশা প্রণয়ন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত চলমান রয়েছে এবং এরপরই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ডিপিপি অনুযায়ী কাজটি এ বছরের মে মাসে শুরু হয়ে ২০২৭ সালে শেষ হবে।