• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে ডাকাতির মালামালসহ আটক ৩

প্রকাশ:  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেসব্রিফিং করে এ সব তথ্য সাংবাদিকদের জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে। এ সময় ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং অভিযানে অংশ নেয়া এসআই রুবেল ফরাজী ও এসআই একরামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজার এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ রিপন হোসেন (৪০), লক্ষ্মীপুর সদর এলাকার মৃত তসলিম মুন্সির ছেলে মোঃ মুরাদ হোসেন (৩৮) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের মৃত জামাল হকের ছেলে আবু তাহের (৩৫)। এদের মধ্যে মোঃ রিপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র আইনের মামলা, মুরাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া আবু তাহেরের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এরা সকলেই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বুধবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের হাজী বাড়ির সহিদ উল্যার বসতঘরে পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতির খবরে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করেও ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করতে পারেনি স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ডাকাতির ঘটনার শিকার সহিদ উল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ, লুণ্ঠনকৃত ৫ ভরি স্বর্ণলঙ্কারের মধ্যে ৪ ভরি ১০ আনা ১ রতি ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত