টানা চারদিন কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশ ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
চাঁদপুরে টানা ৩দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চাঁদপুরের কোথাও মিলেনি সূর্যের দেখা। তবে গতকাল ১৫ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকেই দেখা মিললো সূর্যের মুখ। পৌষের শেষে মাঘের শুরুতে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতের মধ্যে সূর্যের আলো দেখা দেয়ায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
কয়েকদিন রাত-দিন মিলে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভূত হয়েছে। গত টানা তিনদিন কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশ ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। সূর্য উঠায় ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে নেমে পড়ে অনেকেই। শহর ও গ্রামে সমান তালে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। তবে এখনো গ্রামের কিছু কিছু স্থানে রয়েছে হালকা কুয়াশা। সূর্যের দেখা মিলায় শীত কিছুটা কমেছে। জনমনে ফিরে এসেছে স্বস্তি । তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের তেজ আবারও কমতে শুরু করেছে।
এবারের শীতে ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদীর চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বেশি কষ্ট পাচ্ছে। দিনভর থাকে হিমেল হওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সাথে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা তত বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। এ দৃশ্য পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা যায়। পরে কুয়াশা কমলেও অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও শীতের অনুভূতি কিন্তু কমছে না শিগগিরই। আজ ও কাল বুধবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান আবহাওয়া দপ্তর। তবে শীতের অনুভূতি এতে কমবে না। কারণ, সূর্যের আলো ঠিকমতো পাওয়া যাবে না। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশের কোনো কোনো স্থানে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এরপর শীত আরও বাড়তে পারে।