• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় প্রকাশ্যেই জাটকা নিধন

প্রকাশ:  ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়ে নিষিদ্ধ থাকলেও চাঁদপুরে প্রকাশ্যে নিধন ও বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছের পোনা জাটকা। আর এসব জাটকা বিভিন্ন দরে ক্রয় করছেন ক্রেতারা। মৎস্য বিভাগ বলছে-খুব শিগগিরই অভিযানে নেমে জাটকা ধরার ও বিক্রির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর শহরের পালবাজার, কালিবাড়ী মন্দির সংলগ্ন সড়কে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শহরের পুরাণ বাজার হরিসভা,  রনাগোয়াল, দোকানঘর,বহরিয়া এলাকার একাধিক জাটকা বিক্রেতা জানান,তারা টেম্পু ইলিশ নামে পরিচিত এই জাটকা ইলিশ  নদীর পাড়ের আড়তগুলো হতে  এনে বাজারে বিক্রি করেন। এর মধ্যে একদম ছোট সাইজের জাটকা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩২০টাকা এবং একটু বড় সাইজেরগুলো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৪৫০টাকা। তবে সগুলো জাটকাই দশ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্যের । সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য হবে।

এছাড়াও গত কয়েকদিন শহরের পালবাজার এলাকা এবং ওয়ারলেছ বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখাগেছে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে। তাদের কাছে কোনভাবেই মনে হচ্ছে না জাটকা ধরা ও বিক্রি করা অপরাধ।
সূত্র জানায়,চলতি শীত মওসুমে চাঁদপুরের নদ নদীতে প্রচুর ইলিশ বিচরণ করছে। এদের বড় হবার সুযোগ না দিয়ে মৎস্য আড়তদার নিয়ন্ত্রিত জেলেরা কারেন্ট জাল ও কট সুতার তৈরি গুল্টি টানা জাল দিয়ে প্রকাশ্যে এই জাটকা ইলিশ মাছগুলো নিধন করে চলেছে। এ কারণে এখন প্রতিদিন নদীর পাড়ের বিভিন্ন আড়তে সকাল বিকাল ও সন্ধ্যা বেলায় জাটকা ক্রয় বিক্রয়ের যেন হাট বসে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বছর জুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। এছাড়া ইলিশ ডিম ছাড়ার পর নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে। জাটকা বিক্রির বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। এসব জাটকা চাঁদপুরের জেলেদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের আহরণ করা জাটকা চাঁদপুরে বিক্রির জন্য আসে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, জাটকা ধরার খবর আমাদের কাছে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত ছিল। এখন আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করবো। এছাড়াও মৎস্য বিভাগ ছাড়া থানা পুলিশ এবং নৌপুলিশ যে কোন সময় নিজেরাই অভিযান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনে বলা আছে-উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদের এবং তার ওপরের পদের কর্মকর্তা মৎস্য বিভাগ ছাড়াই জাটকা আহরণকারী ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে মৎস্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ভার্চুয়ালি একটি সভা ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মৎস্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ যুক্ত থাকবে। এই সভার পরেই আমরা অভিযানে নামব। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধুমাত্র মৎস্য বিভাগ নয়, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক এগিয়ে আসলে জাটকা অনেকাংশ রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ হিসেবে আমাদেরকে জাটকা ক্রয় করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

সর্বাধিক পঠিত