কারিশমাটিক লিডার রোমান!
চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে চাঁদপুর-৪ তথা ফরিদগঞ্জ আসনটি নিয়ে র্ছিলো আলোচনার শীর্ষে। ছিলো নানা জল্পনা-কল্পনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও হিসেব-নিকেশ। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ ক’জন থাকলেও মূলত ছিলেন তিনজন। এরা হচ্ছেন : মুহম্মদ শফিকুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম রোমান ও ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। এঁদের মধ্যে রোমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই আসনে দলের মনোনয়ন পান মুহম্মদ শফিকুর রহমান। তিনি ফরিদগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হন। অপরদিকে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ও জাহিদুল ইসলাম রোমানও মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে রোমান দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান এবং দলীয় প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ যখন শুরু হয় তখন জাহিদুল ইসলাম রোমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমানের পক্ষে গণসংযোগ করতে থাকেন। বাস্তবতা হচ্ছে, ফরিদগঞ্জে রোমান নৌকার সমর্থনে মাঠে সক্রিয়ভাবে নামার পরই বলতে গেলে নৌকার পালে প্রবল হাওয়া লাগে। নির্বাচনের পুরো সময়টা রোমান প্রতিদিন ভোর বেলা চাঁদপুর থেকে ফরিদগঞ্জ যেতেন, গভীর রাতে চাঁদপুর ফিরতেন। তিনি নৌকার পক্ষে পুরো মাঠ চষে বেড়ান। আবার এর ফাঁকে চাঁদপুর-৩ আসনেও তিনি নৌকার প্রার্থীর জন্যে সময় দেন। ফরিদগঞ্জ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান ঈগলের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়াকে হারিয়ে ঐতিহাসিক বিজয় পান। আর এই বিজয়ের পেছনে ফরিদগঞ্জবাসী মনে করেন, জাহিদুল ইসলাম রোমানই ছিলেন কার্যত মূল ভূমিকায়।