কচুয়ায় ড. সেলিম মাহমুদ বিপুল ভোটে নির্বাচিত
কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই কচুয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ১শ’ ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় থাকলেও দুপুর ১২টার পর ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।
সকাল ৮টায় পালাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ। ভোট প্রদান শেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অপর দিকে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ সেলিম প্রধান নিজ কেন্দ্র তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন এবং জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সোহেল কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে কচুয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসান। কচুয়া আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৭শ’ ৫৯ জন। মোট প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬শ’ ১৮ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩শ’ ৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ সেলিম প্রধান (চেয়ার) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭শ’ ৭৯ ভোট। জাসদের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সোহেল (মশাল) প্রতীকের পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ’ ২১ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৭শ’ ১১ ভোট।
ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. মোঃ শেখ ছাদেক, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন ও রেশমা খাতুন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবু বকর, কচুয়া থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুব আলমসহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।