• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাইমচরে তিন দিনেও খোঁজ মিলেনি নদীতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ জেলের

প্রকাশ:  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে নিখোঁজ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিন দিনেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজ রাসেল শিকদার জীবিত নাকি মৃত এ ভাবনারও কোনো অবসান হচ্ছে না। পরিবারের শোকের বিলাপে একটাই চাওয়া, আলৌকিকভাবে যদি আল্লাহপাক ডুবে যাওয়া জেলে রাসেল শিকদারকে ফিরিয়ে দিতেন। এমন চাওয়াতেই দিন-রাত চারদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে নিখোঁজের পরিবার ও তার আত্মীয়-স্বজন।
নিখোঁজ জেলের পরিবারের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, তারা কয়েকটি টিম নদীতে মাইকিং করছেন। বরিশাল, শরীয়তপুর, হিজলা, চাঁদপুর,  মতলব ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায়ও নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে মাইকিং করেন। নিখোঁজ হওয়ার ৩দিন অতিবাহিত হলেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের মাঝে শোকের মাতম দিন দিন বেড়েই চলছে। নিখোঁজ রাসেল শিকদারের স্ত্রী, ৮ বছর ও ৫ বছর বয়সের দুই ছেলে এবং ২ বছরের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা তার বাবার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। তারা এখনো জানে না তার বাবা হয়তো আর বেঁচে নেই।
এ বিষয়ে হাইমচর ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ রতন শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরে আমাদের চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দলটি সেখানে পাঠিয়েছি। তারা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছে। কিন্তু নিখোঁজ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের ডুবুরি টিমটি নিখোঁজ জেলের সন্ধানে গতকালকে ওখানে গিয়েছিলো এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছিল। নিখোঁজ জেলের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি প্রত্যয়ন নিয়ে চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে।
নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। এখন পর্যন্ত তার সন্ধান আমরা পাইনি। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে জাহাজের ধাক্কায় নৌকা ডুবে যে জেলে নিখোঁজ হয়েছে, নদীর কোন্ জায়গায় সে ঘটনাটি ঘটেছে কেউ বলতে পারেনি। তবুও আমরা এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম নদীতে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের খোঁজার কাজ অব্যাহত থাকবে।

 

সর্বাধিক পঠিত