ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দিনরাত ছুটছেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
একবার দুবার নয়, ৬ষ্ঠ বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এর আগে ৫ বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ৪ বার নির্বাচিত হয়েছেন। উন্নয়নে একনিষ্ঠ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবারে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হওয়ার দৃঢ় মনোবল নিয়ে সকাল-দুপুর-বিকাল-রাতে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আজ হাজীগঞ্জে তো কাল শাহরাস্তিতে। সকালে এক ইউনিয়নে তো বিকেলে আরেক ইউনিয়নে। সকালে পথসভা তো বিকেলে জনসভা। এভাবেই ভোটের মাঠে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) থেকে এর আগে ৪ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবারেও তিনি নৌকা প্রতীক পেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্যে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে গিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন একটি সেক্টরকে। ছিলেন ১নং সেক্টরেরর সেক্টর কমান্ডার। সেই অদম্য সাহসী যোদ্ধাকে এবার নামতে হয়েছে ভোট যুদ্ধে। নিবিড়ভাবে চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ।
বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পথসভায় নিজের জন্যে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন এই বীর যোদ্ধা। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর ৮টি ব্রীজ করেছি, যা দেশের অন্য কোনো নির্বাচনী এলাকায় পাওয়া যাবে না। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের মধ্যে প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ হয়েছে, প্রায় ৭শ’ ব্রীজ-কালভার্ট ও প্রায় ৬শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করেছি। যৎসামান্য কিছু কাজ ছাড়া সকল উন্নয়ন করা হয়েছে। যেসব ভূমিহীন আবেদন করেছে, তাদের সবাইকে ভূমিসহ পাকা ঘর দেয়া হয়েছে। ডাকাতিয়াকে আমরা খনন করেছি। বিদ্যালয়ে আসার জন্যে গরীব দুঃস্থ শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল দেয়া হয়েছে। বহু নাগরিক গোপনে আমার কাছে চিকিৎসা সহায়তাসহ নানান সহায়তা চেয়েছে, তাদের কাউকে আমি ফিরাইনি। বহুজনকে সরকারি খরচে ঢাকাতে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বয়স্কদের জন্যে ডাকাতিয়া নদীর পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে করেছি।
মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি আরো বলেন, আসছে নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে । বেকারদেরকে কাজের সুযোগ করার পথ তৈরি করে দেবো, জনগণ যেন শতভাগ চিকিৎসাসেবা পায়, সে বিষয়ে আমি সংসদে প্রস্তাব রাখবো।
নৌকা প্রতীক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মার্কাই নৌকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। যারা নৌকার বাইরে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দাবি করছে, তারা কিসের আওয়ামী লীগ?
পথসভায় তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আপনারা আমার সম্মান রেখেছেন এবং আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এরপর থেকে প্রায় ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক পরিচয় আমার। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন বলেই এসব উন্নয়ন করতে পেরেছেন উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, আমি ষষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ দিন।