সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে উঠান বৈঠকে ডাঃ দীপু মনি
এবার অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমূখর নির্বাচন হবে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, বিগত ৩৫ বছরের ৭ জন এমপি আপনারা পেয়েছেন কিন্তু কোন উন্নয়ন কি হয়েছে? উন্নয়নতো হয়নি কিন্ত এ হাপানিয়াতে নির্যাতনের চিহ্ন রয়ে গেছে। ৩৫ বছর পর নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করার পর চাঁদপুরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আমি আপনাদের ভোটে তিনবার নির্বাচিত হয়ে দুইবার মন্ত্রী পদ পেয়েছি বলেই উন্নয়ন কাজগুলো করতে পেরেছি। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের লালদিয়া ও হাফানিয়াতে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগে অশুখ বিকুখ হলে অনেকদূরে মানে জেলা শহরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেত হতো। এখন গ্রামেই কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। এ জন্য আমাদের শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। সারাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে আজ আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ হচ্ছে। চাঁদপুরে টেকনিক্যাল স্কুল আছে সেখানে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ, বিদেশ গামীদের জন্য প্রশিক্ষণ রকন্দ্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক নৌ বন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। এমন কোন সেক্টর নেই যে সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন গ্রামের স্কুলগুলো খুবই সুন্দর এবং পাকা। ছেলে-মেয়ের খুবই মনোরম পরিবেশে পড়ালেখা করতে পারে। প্রত্যেকের বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তা। পাকা ছাড়া খুব কমই রাস্তা আছে। আমাদের মা-বোনেরা আগের চাইতে অনেক ভাল আছেন। শেখ হাসিনার কারণে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের চাঁদপুরও অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা চাই উন্নয়ন এবং ভালো থাকতে। আমরা এখন যেমন আছি, আমরা চাই ছেলে-মেয়েরা আরো ভাল থাকবে।
দীপু মনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি চাঁদপুর-৩ আসনের ৫ লক্ষ ৯ হাজার ভোটার প্রত্যেকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। যে যাই বলুক না কেন, এবার অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমূখর নির্বাচন হবে। সেই ভোটে আমরা সবাই অংশ নিব।
আশিকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজ্জাক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চ্যায়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, আশিকাটি ইউনিয়নের পরিষদের চ্যায়ারম্যান বিল্লাল মাস্টার।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সালমা হাই টুনী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট জেসমিন সুলতানা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাফর ইকবাল মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক ঈমাম হাসান বাদশা, জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আজিজ খান বাদল, সদর উপজেলা যুব লীগের আহবায়ক হুমায়ন কবির সুমন, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদা বেগমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।