• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মায়ার কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সম্পাদকসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ এনে দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী জাফরসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
তবে ঘটনার দিন ও সময় কাজী জাফর ঢাকায় ছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছে, সম্পাদক ঘটনায় জড়িত না থাকলে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতলব উত্তর ছেংগারচর পৌরসভার সুগন্ধী এলাকায় নৌকার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে আসেন। সেখানে আনিসুর রহমান ওরফে কানা আনিস নামের এক ব্যক্তির নির্দেশে সংঘবদ্ধ আসামিরা নৌকার কর্মীদের মারধর করেন এবং তাদের সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইলফোন নিয়ে যান। একই সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা নৌকার সমর্থকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দেন।
তবে মামলায় দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার সম্পাদক কাজী জাফরকে আসামি করা হলেও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
এ ঘটনায় আহত দেখানো হয় নৌকার কর্মী মতলব উত্তর উপজেলার মুদাফর এলাকার মজনু দেওয়ানের ছেলে মোঃ রুবেল (৩৫) ও একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে শাকিল দেওয়ান (৩৬)। আহতদের পক্ষে ঘটনার দিনই মামলাটি করেন মতলব উত্তর ষাটনল বাড়িভাঙা প্রধানিয়া বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে ও আহত শাকিলের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম (৩৪)। মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১২ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের অংশ বিশেষ পায়। তবে পত্রিকার সম্পাদকের নামে মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। সম্পাদক ঘটনায় জড়িত না থাকলে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তার নাম বাদ দেওয়া হবে।
দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী জাফরের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর হলেও তিনি অবস্থান করেন ঢাকায়। সেখানে নিজ কার্যালয়ে পত্রিকা সম্পাদনাসহ নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
মামলার বিষয়ে কাজী জাফর বলেন, ঘটনার দিন ও সময়ে আমি নির্বাচনী এলাকায় ছিলাম না। মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করা হয়েছে। হয়রানিমূলক এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। সূত্র : জাগো নিউজ।

সর্বাধিক পঠিত