চাঁদপুর নাগরিক কমিটির প্রতিবাদ এবং নিন্দা জ্ঞাপন
গত ২৪/১২/২০২৩ তারিখে চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী তার নির্বাচনী গণসংযোগে প্রকাশ্য জনসম্মুখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাক্তার দীপু মনি সম্পর্কে অসত্য মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পিতা একজন ভাষাবীর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংবাদিক, বাংলাভাষা, স্বাধিকার ও জনগণের সার্বিক মুক্তির আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার কারণে কারাবরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৮৩ সালে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত বাংলা ভাষা, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর। মা রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর এমন জনসমক্ষে প্রকাশ্য মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে চাঁদপুরে নাগরিক সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষিকা মা এবং রাজনৈতিক পিতার আদর্শে গড়ে উঠে যিনি শিখেছেন সমালোচনা নয়, উদারতা আর মহত্ব দিয়ে জীবনবোধ তৈরি করতে হয়, তিনি পরমতসহিষ্ণু, উদার এবং নৈতিকতাসম্পন্ন। যিনি মন খুলে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন চাঁদপুরের মানুষের কল্যাণে। চাঁদপুর-হাইমচরের মানুষকে যিনি আপন করে নিয়েছেন তাঁর সততা এবং মহৎ গুণ দিয়ে। চাঁদপুরের মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিয়েছেন নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে। মানুষের জন্যে কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরেছেন চাঁদপুরে নাগরিক সমাজের কাছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।
সহনশীলতা, ঔদার্য, বিনয়াবনতা, ভদ্রতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে রাজনীতির শিখরে। দীপু মনি তাদেরই একজন। ন্যায় নীতির মধ্যে থেকে কীভাবে রাজনীতি করা যায় তার প্রতীক ডাক্তার দীপু মনি আমাদের চাঁদপুরের অহংকার।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ, কুরুচিপূর্ণ এবং উস্কানিমূল বক্তব্য চাঁদপুরে নাগরিক সমাজের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আমরা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর এমন বক্তব্য সুষ্ঠু নির্বাচনেরও পরিপন্থী। তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অস্থিতিশীল করার জন্যে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলে আমরা মনে করি, যা নির্বাচন আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্যে আমরা তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে : জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, সভাপতি, চাঁদপুর জেলা নাগরিক কমিটি এবং রতন কুমার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা নাগরিক কমিটি।