• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সংবাদ সম্মেলন করলেন ড. শামছুল হক ভূঁইয়া

প্রকাশ:  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ ও ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। তিনি গতকাল ২৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের জনাকীর্ণ উপস্থিতিতে বলেন, বার বার আমার কাছ থেকে মনোনয়ন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাকে যথাযথ সম্মান দেয়া হয়নি। তাই এবার জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। জনগণের আদালতে হাজির হয়েছি। জনগণই রায় দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন সেই বিশ^াস আমার রয়েছে। আমার চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই এবং এমপি হওয়ারও শখ নেই। শুধু সম্মান আর ইজ্জত এবং জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন করাই আমার নির্বাচন করার মূল লক্ষ্য। নির্যাতিত, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যদি আমার মৃত্যুও হয় তাহলেও আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না, তাদের পক্ষেই কথা বলব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকে অর্থবহ করতে এবং অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যেই এবার দলীয় মনোনয়নের পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে আমিও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নই। তিনি তার নির্বাচনী কার্যক্রম তুলে ধরে আরো বলেন, ২০০১ সালে আমি বিপুল ভোট পাওয়ার পরও আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমার নেতা-কর্মীকে একের পর এক হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। সেই থেকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি পিছপা হইনি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে আমার প্রার্থিতা নিয়ে, আমার বিজয় নিয়ে। ২০১৪ সালে আমার বিরুদ্ধে ঢাকার টোকাই জাতীয় পার্টির একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে, তার হাতে আমার প্রাপ্য নৌকা তুলে দেয়া হয়েছে। আমার থেকে মনোনয়ন কেড়ে নেয়া হয়েছে। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি।
ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার বক্তব্যের প্রায় পুরো অংশ জুড়েই ছিলো ফরিদগঞ্জ আসন নিয়ে। এ প্রসঙ্গে নৌকার প্রার্থীর প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, তারা এখনই বলে বেড়াচ্ছেন ৭ জানুয়ারি বিজয় মিছিল করবেন। যেখানে মানুষের রায় এখনো দেয়া হলো না, সেখানে কী করে তারা এত নিশ্চিত হলেন যে, তারা বিজয় মিছিল করবেন। তারা যদি মনে করে থাকেন, জনগণের রায় ছিনিয়ে নিবেন তাহলে তা ভুল হবে। আমার শরীরের একবিন্দু রক্তকণা থাকতেও তা সম্ভব হবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান কাজী শাহাদাতের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যদি দুটি আসনেই বিজয়ী হই তাহলো তো আর দুটি আসনই রাখা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আমি চাঁদপুর-৪ আসন অর্থাৎ ফরিদগঞ্জ আসনটিই রাখবো। চাঁদপুর-৩ আসনটি ছেড়ে দেবো। ফরিদগঞ্জে আমার বাপ, দাদা, পূর্বসূরি পীর আওলিয়াগণ শায়িত রয়েছেন। আমি এমপি থাকা অবস্থায় ফরিদগঞ্জে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। এর মধ্যে চারটি কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে যা বাস্তবায়ন করতে চাই। ফরিদগঞ্জকে নিয়েই আমার অনেক স্বপ্ন।
‘আপনার কাছ থেকে মনোনয়ন কেড়ে নেয়া এবং বঞ্চিত করার অভিযোগ কি আপনাদের দলের নেত্রীর প্রতি যায় না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে নেত্রী করেন নি, ষড়যন্ত্রকারীরা করেছে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করেন প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভন, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, বিএম হান্নান, গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, মির্জা জাকির, রিয়াদ ফেরদৌস, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটোয়ারী প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত